বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার মহম্মদ আমির দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই ১৫টি উইকেট নিয়ে দলের বাকি বোলারদের থেকে এগিয়ে রয়েছেন। কিন্তু, তাঁকে সাহায্য করার মতো কেউ না থাকায় পাকিস্তানের আক্রমণ ঠিক মতো দানা বাঁধছে না। ব্যাটিংয়েও তথৈবচ অবস্থা। প্রথম ম্যাচের পর বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান হ্যারিস সোহেলকে বসিয়ে দেওয়ায় পাক ব্যাটিংও নিষ্প্রভ ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সোহেল দলে ঢোকেন। তাঁর ৫৯ বলে ৮৯ রানের সুবাদেই প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে সাত উইকেটে ৩০৮ রান তুলেছিল পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শাদাব খান এবং ওয়াহাব রিয়াজও তিনটি করে উইকেট পান। ব্যাটে-বলে ছন্দ ফিরলেও ফিল্ডিং এখনও পাক শিবিরের কাছে মাথাব্যথার কারণ। তারা মোট ১৩টি ক্যাচ মিস করেছে। নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগে পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদও জানিয়েছেন, ‘আরও ভালো ফিল্ডিং করার জন্য আমাদের প্রচন্ড পরিশ্রম করতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জিতলেও একাধিক ক্যাচ আমাদের হাতছাড়া হয়েছে। এই ভুল আবার হলে কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না।’
অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত কোনও ম্যাচ না হারায় নিউজিল্যান্ড শিবির যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। আক্ষরিক অর্থেই দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তাঁর জোড়া সেঞ্চুরিতেই দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে নিউজিল্যান্ড। আফগানিস্তানের বিপক্ষেও উইলিয়ামসন দলের ব্যাটিংকে মজবুত করার কাজটি ভালোভাবেই করতে পেরেছেন। রানের মধ্যে রয়েছেন রস টেলরও। কিন্তু, দুই ওপেনার কলিন মুনরো এবং মার্টিন গাপটিলের বড় রান না পাওয়া টিম ম্যানেজমেন্টকে চিন্তার মধ্যে রেখেছে। বোলিং বিভাগে ট্রেন্ট বোল্ট ও লকি ফার্গুসন দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন। দলের দুই অলরাউন্ডার জিমি নিসাম ও কলিন দি গ্র্যান্ডহোমও প্রত্যাশিত ছন্দে রয়েছেন। তাই, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও একটি জয়ের প্রত্যাশায় প্রহর গুণছে কিউয়ি শিবির।