বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
গোটা ম্যাচে প্রায় সত্তর শতাংশ বল পজেশন রেখেও গোল পায়নি ব্রাজিল। মাঝমাঠে রিচার্লিসন-কুটিনহোরা প্রাধান্য বিস্তার করলেও ভেনেজুয়েলার বক্সে পৌঁছে বারবার খেই হারিয়ে ফেলেছে সাম্বা আক্রমণ। মঙ্গলবার প্রথম একাদশে একটি মাত্র পরিবর্তন করেছিলেন তিতে। মাঝমাঠে ফার্নান্দিনহোর পরিবর্তে তিনি ব্যবহার করেন আর্থারকে। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় ব্রাজিল। কিন্তু ভেনেজুয়েলার ডিফেন্ডাররা, বিশেষ করে দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার ওসোরিও এবং ভিলানুয়েভা চমৎকার খেলায় প্রথমার্ধে কাঙ্ক্ষিত গোল পায়নি পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। পাশাপাশি সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন ডেভিড নেরেস ও রবার্তো ফারমিনো। এই পর্বে ভেনেজুয়েলা একটি মাত্র সুযোগ পেয়েছিল। ১৯ মিনিটে ডানদিক থেকে ভেসে আসা ক্রসে রন্ডনের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বিরতির মিনিট ছয়েক আগে ডানদিক থেকে ড্যানি আলভেসের বাড়ানো বল ধরে ফারমিনো জাল কাঁপালেও তা ফাউলের জন্য বাতিল হয়।
দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের গতি-প্রকৃতিতে তেমন রদবদল হয়নি। রিচার্লিসনের পরিবর্তে আপফ্রন্টে গ্যাব্রিয়েল হেসাসকে নামানো হয়। ৫৭ মিনিটে কাসেমিরোর পরিবর্তে ফার্নান্দিনহোকে ব্যবহার করেন ব্রাজিল কোচ। এর কিছুক্ষণ পরেই ফারমিনোর পাস থেকে গোল করেন গ্যাব্রিয়েল হেসাস। জাল কাঁপানোর পরে গ্যালারির সামনে গিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু ভার প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে রেফারি এই গোল বাতিল করেন। তাঁর মনে হয়েছে, বল ধরার সময় ফারমিনো অফ-সাইডে ছিলেন। এরপরে ম্যাচের অন্তিম পর্বে ফেলিপে কুটিনহোর গোলও একইভাবে বাতিল হয়। এই গোলটি কেন বৈধ নয়. তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞদের সিংহভাগই। কিন্তু ম্যাচের পর ব্রাজিলের কোচ তিতে বলেন, ‘ভার প্রযুক্তি ফুটবলকে নিখুঁত করে তুলেছে। তাই এর বিরুদ্ধে আমার কোনও বক্তব্য নেই। শেষ মুহূর্তে কুটিনহোর গোল বাতিল হল ফারমিনোর কারণে। এটা কতটা ঠিক তা বলার জায়গায় আমি নেই। ব্রাজিল সমর্থকদের মতো আমিও গোলের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সেই আশা পূর্ণ না হওয়ায় খারাপ তো লাগছে। অনুশীলনে আরও পরিশ্রম করে ভুলভ্রান্তি কাটিয়ে উঠতে হবে ফুটবলারদের।’