গ্রেম স্মিথ : এই বিশ্বকাপে নিজেদের সম্মান ও অস্তিত্বরক্ষার লড়াইয়ে ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। একথা আমি আগেও উল্লেখ করেছি। ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে পর পর তিনটে ম্যাচে হারের পর বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচ থেকে চলতি বিশ্বকাপে প্রথম পয়েন্ট পেয়েছিল প্রোটিয়া বাহিনী। তারপর দুর্বল আফগান ব্রিগেডের বিরুদ্ধে তারা প্রথম জয় পেয়েছে। বুধবার বার্মিংহামে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ফর্মে থাকা শক্তিশালী নিউজিল্যান্ড। এটাও খুব কঠিন ম্যাচ হতে চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে। গত দুটি বিশ্বকাপে এই নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেই ছিটকে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বুধবার হারলেই এবারের মতো কার্যত শেষ প্রোটিয়া বাহিনীর বিশ্বকাপ অভিযান। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা চলতি বিশ্বকাপে সদর্থক অবদান রাখতে ব্যর্থ। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের হয়ে গত কয়েকটি ম্যাচে ব্যাট হাতে মাঝেমধ্যেই জ্বলে উঠেছে মার্টিন গাপটিল, ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলর। কিন্তু প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন ফাফ ডু প্লেসি এখনও পর্যন্ত নিজের সুনামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সিনিয়রদের মধ্যে ফাফ, হাসিম আমলাদের কাছে প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু দু’জনেই হতাশ করেছে। ইংল্যান্ডের অধিকাংশ মাঠেই এবার সাদা বলে তেমন স্যুইং হচ্ছে না।
নিউজিল্যান্ডের পেস আক্রমণ রীতিমতো শক্তিশালী। ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসন, টিম সাউদিরা যে কোনও দলের ব্যাটিং লাইন আপে ভাঙন ধরাতে সমর্থ। বিশেষত লকির বলের গতি খুবই ভয়ঙ্কর। ব্ল্যাক ক্যাপসের এই পেস আক্রমণের জন্যই তাঁরা বুধবারের ম্যাচে এগিয়ে থাকবে। স্রেফ গতির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লকি বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে। ট্রেন্ট বোল্ট আরও বেশি অভিজ্ঞ। বিশেষত সাদা বলে ওকে মোকাবিলা করা বেশ কঠিন। ওর সামনে বুধবার প্রোটিয়া বাহিনীর ব্যাটসম্যানদের স্কিল পরীক্ষিত হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল হিসেবে এই বিশ্বকাপে আদৌ ক্লিক করেনি। এজবাস্টনের উইকেট বেশ ভালো। পিচে বাউন্স ও গতি থাকবে। তাই ফর্মে থাকা নিউজিল্যান্ড দলকে এই মাঠে হারানোর চ্যালেঞ্জ কি বুধবার প্রোটিয়া বাহিনী নিতে পারবে?