কার্ডিফ, ১৬ জুন: হোক না প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেয়ে স্বস্তিতে দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির। প্রথম তিনটি ম্যাচে হারের পর, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল প্রোটিয়াদের। অবশেষে শনিবার রাতে একতরফা লড়াইয়ে আফগানিস্তানকে ন’উইকেটে হারিয়ে জয়ের স্বাদ পেয়েছে ফাফ ডু’প্লেসির দল। বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি কমে হয় ৪৮ ওভারের। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে একসময় আফগানিস্তানের রান ছিল এক উইকেটে ৫৬। সেখান থেকে তাদের ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৫ রানে (৩৪.১ ওভার)। এই রান তুলতে দক্ষিণ আফ্রিকার লাগে ২৮.৪ ওভার। কুইন্টন ডি’কক (৬৮) এবং হাশিম আমলার (৪১ নট আউট) ওপেনিং জুটিতে যোগ হয় ১০৪ রান। অধিনায়ক ডু’প্লেসি বলেছেন, এই ম্যাচ থেকে ইতিবাচক দিকগুলি নিয়েই তাঁরা পরের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে চান। তিনি জানিয়েছেন, ‘মরিস (ক্রিস) এবং তাহির (ইমরান) মিডল ওভারে দারুণ বল করেছে। ওর এই উইকেট নেওয়ার ক্ষমতার জন্যই দু’বছর ধরে তাহির আমাদের দলকে শক্তিশালী হিসেবে মেলে ধরতে সাহায্য করছে। আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার জন্য আমলার রানে ফেরা দরকার ছিল। যাতে পরের ম্যাচগুলিতে ও নিজের ছন্দে খেলতে পারে।’
১৩ রানে তিন উইকেট নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার মর্যাদা দিয়েছেন অলরাউন্ডার ক্রিস মরিস। ৩২ বছরের মরিস অবশ্য তাঁর এই সাফল্যের জন্য কৃতজ্ঞ দলের কোচ ওটিস গিবসনের কাছে। আনরিচ নরৎজে হাতের চোটের কারণে বাদ পড়ায় শেষমুহূর্তে বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত দলে ঠাঁই পান মরিস। তিনি জানিয়েছেন, ‘গিবসনের পরামর্শ মেনেই আমি সাফল্য পেয়েছি। গত দু’সপ্তাহ ধরে আমার বোলিং নিয়ে গিবসনের সঙ্গে কাজ করেছি। রান আপে কিছুটা বদল করেছি। জোরে বল করার থেকেও লাইন ঠিক রাখার চেষ্টা করেছি। এসবের জন্যই সাফল্য এসেছে।’