বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ধাওয়ানের না খেলার উৎকণ্ঠা দূরে সরিয়ে রহিত ও রাহুলের ওপেনিং জুটি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শতরানের গণ্ডি পার করিয়ে দেয় ভারতকে। বিশেষ করে নতুন বলে মহম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজদের দারুণ সামলেছেন রাহুল। শতরানকারী রহিত শর্মাকে অনবদ্য সঙ্গ দেওয়ার পথে নিজের হাফ-সেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ৫৭ রানের মাথায় ওয়াহাব রিয়াজের বলে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন রাহুল। দলের রান তখন ১৩৬। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটাই ভারতের সর্বাধিক রানের ওপেনিং জুটি। রহিত-রাহুল ভেঙে দেন ১৯৯৬-র বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে শচীন তেন্ডুলকর ও নভজ্যোৎ সিং সিধুর গড়া রেকর্ড। শচীন ও সিধুর ৯০ রানের জুটিই ছিল এতোদিন বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বৃহত্তম ওপেনিং পার্টনারশিপ। দীর্ঘ ২৩ বছর পর তা নতুন ভাবে লিখলেন প্রথমবার এক সঙ্গে ইনিংস সূচনা করতে নামা রহিত ও রাহুল।
১৯৯২ সালে প্রথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ম্যাচে শ্রীকান্তের সঙ্গে ওপেন করেন অজয় জাদেজা। দু’জনে মাত্র ২৫ রান যোগ করেন স্কোর বোর্ডে। ১৯৯৬ সালে শচীন-সিধু ওপেন করে ৯০ রান তোলেন। ১৯৯৯ সালে শচীন ও সদাগোপান রমেশ ওপেনিং জুটিতে ৩৭ রান যোগ করেন। ২০০৩ সালে শচীন ও বীরেন্দ্র সেওয়াগ জুটি ৫৩ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়ে। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়নি। ২০১১ সালে শচীন-সেওয়াগ জুটি ৪৮ রান তোলে। ২০১৫ বিশ্বকাপে রহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানের ওপেনিং জুটি ৩৪ রান যোগ করে। এবার রহিত ও লোকেশ রাহুল মিলে তুললেন ১৩৬ রান।
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই নিয়ে মোট সাত বার মুখোমুখি হল ভারত ও পাকিস্তান। যার মধ্যে ভারতের হয়ে সর্বাধিক চারবার ইনিংসের সূচনা করেন শচীন তেন্ডুলকর (১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০১১)। এছাড়া দু’বার করে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন সেওয়াগ (২০০৩ ও ২০১১) ও রহিত (২০১৫ ও ২০১৯)।