ম্যাঞ্চেস্টার, ১৬ জুন: রবিবার ওল্ড ট্রাফোর্ডে ভারতের নতুন ওপেনিং জুটি লোকেশ রাহুল ও রহিত শর্মার বিরুদ্ধে পাকিস্তান পেসারদের হতশ্রী বোলিং দেখে হতাশ ওয়াকার ইউনিস। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ব্রেকের সময়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন বিখ্যাত বোলার ওয়াকার ইউনিস বলেন,‘ আমির- হাসান আলি- ওয়াহাব রিয়াজদের বোলিং দেখে আমি বিস্মিত। ওরা নিজেদের ছন্দে বলই করতে পারেনি। ‘উইকেট টু উইকেট’ বল না করে ওয়াইড বল করেছে। নয়তো ব্যাটসম্যানকে শট খেলার জায়গা দিয়েছে। লোকেশ রাহুল এই প্রথম একদিনের ক্রিকেটে ওপেন করল। ও নিশ্চয় মানসিক চাপে ছিল। আমিরকে প্রথম ওভারটি মেডেন দেয়। দ্রুত উইকেট তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে পরবর্তীকালে পাকিস্তানের ‘সফট টার্গেট’ হতে পারত লোকেশ রাহুল। কিন্তু হাসান আলি- ওয়াহাব রিয়াজরা ওর পায়ের কাছে বল ফেলে উইকেটে সেট হওয়ার সুযোগ দিল। ফাস্ট বোলিংয়ে পাকিস্তানীদের একটা সুনাম ছিল গোটা বিশ্বে। সেটা আমি রবিবার ম্যাঞ্চেস্টারে দেখতে পেলাম না। দিনের শেষে আমিরের বোলিং বিশ্লেষণ ( ১০-১-৪৭-৩) হয়তো মন্দ নয়। কিন্তু ভারতীয় টপ অর্ডারকে ‘আঘাত’ করতে ব্যর্থ আমির। দলে দুই স্পিনার থাকলেও তারা দাগ কাটতে ব্যর্থ। প্রথম একাদশে দুই জন স্পিনার থাকার পরেও টসে জিতে পাকিস্তান কেন ফিল্ডিং নিল তা আমি বুঝতে পারিনি। উইকেট দু’দিন ঢাকা ছিল। সকালে কড়া রোদ ছিল। তাই ওল্ড ট্রাফোর্ডের উইকেটে যে আর্দ্রতা থাকার কথা ছিল তা হয়তো ছিল না। সকালে আরও ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত ছিল পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্টের। আমাদের ফিল্ডিংও মোটেই ভালো হয়নি। রহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল এই প্রথম ওপেন করল। আগে হয়তো মিডল ওভারে ওরা একসঙ্গে ব্যাটিং করেছে। মাঝ পর্বে ব্যাটিং করা আর ওপেন করতে এসে জুটি বাঁধা এক নয়। এর ফলেই ওদের মধ্যে ‘রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে’ ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। যার সুযোগ নিতে পাকিস্তান ব্যর্থ।’ ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারে সঠিক কথাই বলেছেন ওয়াকার ইউনিস।
৯.১ ওভারে ফখর জামান তো রহিতকে রান আউট করার সুর্বণ সুযোগ নষ্ট করে। প্রথম রানটি পূর্ণ করার পর রহিত দ্বিতীয় রানটি নিতে চেয়েছিল। অনেকটা দৌড়ে গিয়েছিল রহিত। ফখর বোলিং এন্ডে থ্রো না করে উইকেটকিপারকে বলটি দেয়। লোকেশ রাহুলও রহিতকে ফিরিয়ে দিয়ে দ্রুত ক্রিজে ফিরে যান। রহিত বোলিং এন্ডে ততক্ষণে পৌঁছাননি। কারণ তিনি প্রায় মাঝ ক্রিজে পৌঁছে গিয়েছিলেন। ফকরের থ্রো সরফরাজের হাত ঘুরে যখন বোলিং এন্ডে আসে তখন রহিত ক্রিজে। এরপরেও দ্রুত রান নিতে গিয়ে রহিত রান আউট হতে হতে বেঁচে যান। শেষ পর্যন্ত এই রহিতই ১১৩ বলে ১৪০ রান করে ভারতকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেন। যদিও বৃষ্টির জন্য ওল্ড ট্রাফোর্ডে আবহাওয়ার প্রভূত পরিবর্তন হয়। তাই অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের তুলনায় শেষ ১০ ওভারে অনেক কম রান ওঠে। ভারতেরই ইনিংসে এদিন নয়টি ওয়াইড বল করেন পাক বোলাররা।