কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
যদিও পূর্বাভাস রয়েছে, তবু আশা করব বৃষ্টি ম্যাচটিতে কোনওরকম বিঘ্ন ঘটাবে না। এই সময় ইংল্যান্ডে এত বৃষ্টি কিন্তু সত্যিই বেশ অস্বাভাবিক। কিন্তু, ক্রিকেটের মতো অনিশ্চয়তার খেলাকে এই বৃষ্টি যেন আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। ম্যাচ যত বেশি ওভার খেলা হবে, ভারতের পক্ষে তা অনেক বেশি কার্যকরী হবে। কারণ, ভারতীয় দলে কোয়ালিটি প্লেয়ার অনেক বেশি রয়েছে। দলে শিখর ধাওয়ানের না থাকাটা নিঃসন্দেহে একটা বড় ধাক্কা। কিন্তু, নিজের যোগ্যতা প্রমাণের এটাই সবচেয়ে ভালো সুযোগ কে এল রাহুলের সামনে। আশা করি, রাহুল সুযোগটা কাজে লাগাতে পারবে। কোনও দলের মান নির্ভর করে তার রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তির উপর। ভারতকে বিশ্বকাপ জিততে হলে দেখিয়ে দিতে হবে যে, তাদের রিজার্ভ বেঞ্চও প্রথম এগারোর থেকে কোনও অংশে কম নয়।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিন্তু শুরুতে ভারতকে একটু ধরে ব্যাট করতে হবে। অযথা তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসলে চলবে না। কারণ, ইংল্যান্ডে ইনিংসের প্রথম দিকেই বল একটু বেশি নড়াচড়া করছে। পেসাররা সুবিধা পাচ্ছে। আবার ইনিংসের শেষ দিকে রিভার্স সুইংয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা আদায় করে নিতে পারছে বোলাররা। আমার মনে হয়, মহম্মদ আমিরের প্রথম স্পেল সামলানোই ভারতের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই বছর সেরকম বিরাট কিছু সুইং চোখে পড়ছে না। এমনকী, বাঁ হাতিদের ক্ষেত্রেও নয়। এতে রহিত শর্মার সুবিধাই হবে। সহজ হবে বিরাট কোহলির পক্ষেও। তবে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমার বাজি রহিতই।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ক্রিকেট বিশ্বে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে বুমরাহকে নিয়েই। ভুবনেশ্বরও বেশ ভালো বল করছে। আমার মতে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কুলদীপের বদলে খেলানো উচিত সামিকে। জানি, এই ম্যাচটা ভারত সব সময়েই জিততে চায়। কিন্তু, এইমুহূর্তে ভারতের বিরুদ্ধে জয় পাওয়া পাকিস্তানের কাছে অত্যন্ত জরুরি। কারণ, তিন ম্যাচে ভারতের পয়েন্ট যেখানে পাঁচ, সেখানে চারটি ম্যাচ খেলে পাকিস্তানের সংগ্রহে রয়েছে মাত্র তিন পয়েন্ট। ধারেভারে এগিয়ে থাকা ভারত যে পাকিস্তানের দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশ্বকাপে তাদের ‘অপরাজিত’ আখ্যা অক্ষুণ্ণ রাখতে চাইবে, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।