পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারতের বিরুদ্ধে কখনও জয়ের মুখ দেখেনি পাকিস্তান। ক্রিকেটের মহামঞ্চে এখনও পর্যন্ত মোট ছয়বার মুখোমুখি হয়েছে এশিয়ার দুই প্রতিবেশি দেশ। আর তাতে ছয়বারই জিতেছে ভারত। ফর্ম এবং শক্তির বিচারে এবারও পাল্লা ভারি টিম ইন্ডিয়ার দিকে। তবু রবিবারের হাইভোল্টেজ দ্বৈরথের আগে কোহলিদের সতর্ক করে দিয়েছেন সৌরভ। ভারতের অন্যতম সেরা অধিনায়কের কথায়, ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে ভারতীয় দলকে। ওরা কখন কী করবে, অনুমান করা কঠিন। তাছাড়া ওদের দলে বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার রয়েছে, যারা নিজেদের সেরা ফর্মে থাকলে যে কোনও প্রতিপক্ষকেই শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে। ওদের ব্যাটিং লাইন-আপ যথেষ্ট শক্তিশালী। আর মহম্মদ আমির ছন্দ ফিরে পাওয়ায় পাকিস্তানের বোলিং বিভাগেও এখন শ্রী ফিরে এসেছে। তাই এমন একটা দলের বিরুদ্ধে নিজেদের ফেভারিট ভেবে নিয়ে মাঠে নামাটা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।’ এরপরই দু’বছর আগের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের উদাহারণ টেনে সৌরভ বলেন, ‘২০১৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঠিক এমন একটা ভুল করেছিল ভারতীয় দল। যার মাশুলও গুণতে হয়েছিল হাতেনাতে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে আত্মতুষ্টির শিকার হয়ে হেরে মাঠ ছেড়েছিল ভারতীয় দল। আশা করি, সেই ভুল আর করবে না কোহলিরা। পাশাপাশি ওদের আমি পরামর্শ দেব, চাপমুক্ত মনে মাঠে খেলাটা উপভোগ কর। তাহলেই সম্ভব হবে সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরা।’
সৌরভের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন শচীন তেন্ডুলকরও। তাঁর মতে, ‘পাকিস্তান সাংঘাতিক দল। ক্রিকেট মাঠে ওরা সত্যিই অননুমেয় শক্তি। কখন যে জ্বলে উঠবে কেউ বলতে পারে না। তাই ওদের কখনোই হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়। তাই বিশ্বকাপে ওদের বিরুদ্ধে অতীত রেকর্ডের সুখতৃপ্তিতে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী না হওয়াই ভালো। আমি চাই, ভারতীয় খেলোয়াড়রা মাঠে নামুক স্রেফ নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার সংকল্পে বুক বেঁধে।’ শচীন আরও জানিয়েছেন, ‘এই ম্যাচ ঘিরে দুই দলের ওপরেই প্রবল চাপ থাকে। কারণ এটা শুধুমাত্র একটা ক্রিকেট ম্যাচ নয়। দুই দেশের মানুষের আবেগের প্রশ্নে এটা তার চেয়েও বেশি কিছু।’