পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চোট পেয়েছিলেন শিখর ধাওয়ান। তাঁর পরিবর্তে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রহিত শর্মার সঙ্গে লোকেশ রাহুল ওপেন করবেন। আর সেক্ষেত্রে চার নম্বরে কাকে খেলানো হবে, তা নিয়েই জোর জল্পনা চলছে। তবে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাই কত ওভার খেলা হবে, তার ভিত্তিতেই ঠিক করা হবে টিম কম্বিনেশন। যদি ৩৫ ওভারের কম খেলা হয়, সেক্ষেত্রে দীনেশ কার্তিক প্রথম একাদশে ঢুকতে পারে। যদি ৪০-৫০ ওভারের খেলা হয়, তাহলে বিজয় শঙ্করকে আমরা সুযোগ দিতে পারি।’
পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা স্পিন ভালোই খেলেন। ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, হ্যারিস সোহেল, আসাফ আলিদের মতো পাক ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে দুই স্পিনার খেলানোর যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের অনেকে বলছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কুলদীপ যাদবকে বসিয়ে মহম্মদ সামিকে খেলানো হবে। কারণ, ওল্ড ট্যাফোর্ডের কন্ডিশনে তৃতীয় স্পেশালিস্ট পেসার খেলানোর সুবিধা পাবে ভারতীয় দল। তবে বিরাট কোহলি কিন্তু সহজেই কুল-চা জুটিকে ভাঙতে রাজি নন। তিনি বলেছেন, ‘কন্ডিশন এবং কত ওভারের ম্যাচ হচ্ছে, সেটা দেখেই আমাদের কম্বিনেশন সাজাতে হবে। তবে আমাদের হাতে যে ধরনের স্পিনার ও পেস বোলার রয়েছে, তা যে কোনও দলকেই বিপাকে ফেলতে পারে। তবে পরিস্থিতির নিরিখে দলে পরিবর্তন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এই ব্যাপারে এক গুঁয়েমি দেখানোর কোনও জায়গা নেই। আমরা আগের ম্যাচে যে কন্ডিশনে খেলেছি, তার থেকে যদি এখানকার কন্ডিশন একেবারে ভিন্ন হয় তাহলে অন্য কম্বিনেশন নিয়ে মাঠ নামব আমরা। যদি মনে হয় পেসাররা সুবিধা পায়, তাহলে সেদিকেই হাঁটব।’
বিরাট কোহলি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ৪০ ওভারের বেশি ম্যাচ হলে বিজয় শঙ্করকেই তিনি প্রথম একাদশে রাখবেন। কোহলি বলেন, ‘যদি পুরো পঞ্চাশ ওভারের খেলা হয়, তাহলে বিজয় শঙ্করকে আমরা বেছে নিতে পারি। ওর টেকনিক খুবই ভালো। আসলে বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় আমাদের সব সম্ভাবনা খোলা রাখতে হচ্ছে। দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। তাই এগারজন ক্রিকেটারকে বেছে নিতে কোনও সমস্যা হবে না।’
এদিকে, পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থার ইঙ্গিত দিয়েছেন, পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে বসিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে স্পিনার শাদাব খানকে খেলানো হতে পারে। উইকেটে অনেক বেশি আর্দ্রতা রয়েছে। তাই পাকিস্তান চার পেসার খেলাতে চায় না বলে জানিয়েছেন আর্থার। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গতকাল পিচ দেখেছি। টনটনের মতো উইকেট নয়। টনটনে ঘাস ছিল। ওল্ড ট্রাফোর্ডের পিচে সবুজ ঘাস নেই বললেই চলে। তবে আর্দ্রতা অনেক বেশি। তাই স্পিনাররাও সুবিধা পেতে পারে।’