বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে কোহলিরা কতটা চাপে? একবার নয়, গুণে গুণে সাতবার একই প্রশ্ন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করা হয় ভারত অধিনায়ককে। যদিও কোহলি বেশ শান্তভাবেই প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘ম্যাচটা একটা সময় শুরু হবে, একটা সময়ে শেষও হয়ে যাবে। তাই এটাই জীবনের শেষ ম্যাচ নয়। এখানে আমরা ভালো পারফর্ম করতেও পারি, নাও পারি। আমাদের কাছে বিশ্বকাপ জেতাই একমাত্র লক্ষ্য। তাই এই ম্যাচের ফলাফল আমাদের উপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। কে জানে, আমরা কাল প্রত্যাশা মতো খেলতে নাও পারি। তার মানে এই নয় যে আমাদের সব আশা শেষ হয়ে যাবে। টুর্নামেন্ট চলতেই থাকবে। তাই আমাদের লক্ষ্য অনেক বড়। এটা কারও একার লড়াই নয়। দলের প্রত্যেককে দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে।’ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। গত বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় কোহলিরা বেশ হতাশ হয়েছিলেন। কারণ, কিউয়িদের সঙ্গে এক পয়েন্ট ভাগ করে নিতে হয়েছিল ‘টিম ইন্ডিয়া’কে। বিরাট বলেছেন, ‘আবহাওয়া কখনও নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আমাদের দেখতে হবে, কতক্ষণ খেলা হতে পারে। সেই মতো পরিকল্পনা করে মাঠে নামব আমরা।’ অনেকেই বলছেন রবিবারের মহারণে মূল আকর্ষণ হতে পারে মহম্মদ আমিরের সঙ্গে বিরাট কোহলির ডুয়েল। এই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে ভারত অধিনায়ক কড়া প্রতিক্রিয়া, ‘আমি এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করে নিউজ চ্যানেলের টিআরপি বাড়ানোর সুযোগ করে দেব না। আমি এমনও কিছু বলব না, যা খবরের উৎস করে দেয়। যখনই কোনও বোলারকে মোকাবিলা করি, তখন শুধু বলটা দেখি, লাল না সাদা। হ্যাঁ, আমিও বোলারদের দক্ষতাকে সম্মান করি। কাগিসো রাবাদাকে নিয়েও আগে একই কথা বলেছি। যে বোলাররা বিশ্ব ক্রিকেটে দাপাচ্ছে, তাদের সমীহ করতেই হবে। একই সঙ্গে সেই বোলারদের বিরুদ্ধে রান করার মতো আত্মবিশ্বাসও গড়ে তুলতে হবে। ক্রিকেট দলগত খেলা। এখানে আমি কিংবা সে (আমির) কেমন পারফর্ম করল, তার উপর ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হবে না। তাছাড়া এই ধরনের লড়াই জিতে আমার কিছু প্রমাণ করার নেই। আমি কখনও এই ধরনের তুলনাকে গুরুত্ব দিই না। পার্টটাইম বোলারের বলেও আউট হতে পারি। তাই কোনও ব্যক্তিগত লড়াই ঘিরে আমার কোনও উৎসাহ নেই।’
বিরাট কোহলি যাই বলুন, ভারত-পাক সমর্থকরা কিন্তু রবিবার গ্যালারিতে নিজের নিজের দেশের হয়ে গলা ফাটাবেন। তাঁদের কাছে এটা সম্মানের লড়াই। অনেক ক্রিকেটপ্রেমী এই ম্যাচটাকে বিশ্বকাপ জেতার থেকেও বড় করে দেখেন। কিন্তু কোহলি তার উলটো সুরেই কথা বলেছেন। তিনি জানান, ‘আমি সমর্থকদের পরামর্শ দেব, এই ম্যাচটা অন্য আঙ্গিকে না দেখার জন্য। আমরা পেশাদার ক্রিকেটার। উত্তেজনা ও আবেগ নিয়ে চললে আমাদের হবে না। তাই সমর্থকদের থেকে ক্রিকেটারদের মানসিকতা ভিন্ন হবেই। আমাদের লক্ষ্যই থাকবে মাঠে সেরাটা উজাড় করে দেওয়া। আশেপাশে কী হচ্ছে, সেদিকে আমরা নজর দিতে চাই না। তাতে ফোকাস নড়ে যেতে পারে। সমর্থকরা যেভাবে ব্যাপারটা দেখার চেষ্টা করছেন, সেটা ক্রিকেটারদের পক্ষে ভাবা সম্ভব নয়।’