সাদাম্পটন, ৯ জুন: বিশ্বকাপের প্রথম তিনটি ম্যাচে হেরে এই মুহূর্তে যথেষ্ট চাপে দক্ষিণ আফ্রিকা। পয়েন্টের খাতা খুলতে না পারায় ঘরে-বাইরে ইতিমধ্যেই সমালোচিত হচ্ছেন ফাফ ডু’প্লেসি-ব্রিগেড। সোমবার সাদাম্পটনে প্রোটিয়ারা মুখোমুখি হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হেলায় হারিয়ে দুরন্ত সূচনা করেছিল ক্যারিবিয়ানরা। পরের ম্যাচে অবশ্য তারা লড়াই করে হার মানে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। সোমবারের ম্যাচ তাই ওয়েস্ট ইন্ডিদের থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে দেখা গিয়েছে, এরকম ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা অনবদ্য পারফরম্যান্স মেলে ধরে জিতেছে। তাই জ্যাসন হোল্ডার-ব্রিগেডকে সতর্ক করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড। এদিন তিনি প্রসঙ্গক্রমে বলেন, ‘গোটা ম্যাচে বিপক্ষের উপর চাপ বজায় রাখতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত বোলিং শুরু করেও শেষদিকে লাইন-লেংথ বজায় রাখতে পারেনি ক্যারিবিয়ান বোলাররা। এই পর্বে পরিকল্পনারও অভাব ছিল। পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার পার্থক্য অনেকটাই। পাঁচবারেরর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের দেশ এই মুহূর্তে ফর্মের শীর্ষে রয়েছে। কুল্টার-নাইলের মতো বোলিং অলরাউন্ডার যখন ক্রিজে তখন হোল্ডাররা কৃপণ হওয়ার প্রয়োজন ছিল। এই ম্যাচের আগে কুল্টার-নাইলের সর্বাধিক রান ছিল মাত্র ৩৪। কিন্তু পরিকল্পনাহীন ক্যারিবিয়ান বোলিংয়ের সামনে ও অস্ট্রেলিয়ার পরিত্রাতা হয়ে ওঠে। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বোলিংয়ে আরও শৃঙ্খলার প্রয়োজন। শুধু বোলিং নয়, ফিল্ডিং এবং ব্যাটিংয়েও উন্নতির অবকাশ রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। টি-২০ ক্রিকেটের অভ্যাস আপাতত শিকেয় তুলে রাখা উচিত ওদের। একদিনের ম্যাচে দুমদাম চালিয়ে বিপক্ষকে উইকেট উপহার দেওয়া অর্থহীন। আশা করি, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হারের পর গেইল-রাসেলরা ভুল নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছে। ওই ম্যাচের কথা ভুলে গিয়ে নতুন উদ্যমে মাঠে নামা উচিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মতো দলকে হারাতে পারলে গেইলদের সামনে সেমি-ফাইনালের পথ প্রশস্ত করবে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে ক্লাইভ লয়েড বলেন, ‘আমরা যখন ক্রিকেট খেলতাম তখন প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সমীহ করত। কারণ, বছরের পর বছর আমরা অল-রাউন্ড পারফরম্যান্স মেলে ধরেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দলেও সেই মশলা মজুদ রয়েছে। শুধু প্রয়োজন বিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা পর্যালোচনা করে মাঠে তা কাজে লাগানো। রাসেলদের মনে রাখতে হবে, বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য একটি বা দু’টি ম্যাচ ভালো খেললে চলবে না। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে সাফল্য আসবে।’