লন্ডন, ৮ জুন: গত বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় পাওয়ার পর ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে দারুণ আত্মবিশ্বাসী অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিনচ। শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সন্মেলনে তিনি বলেন,‘ ভারতের মতো শক্তিশালী দলকে মোকাবিলা করার জন্য আমরা তৈরি। বিপক্ষ দলে বিরাট কোহলির মতো তারকা খেলোয়াড় আছে। তিন ধরণের ফরম্যাটেই বিরাটকে অনেক ক্রিকেটবোদ্ধাই বিশ্বসেরা বলে থাকেন। আইসিসি’র ওয়ান ডে এবং টেস্ট র্যাঙ্কিংয়েও একনম্বরে আছে কোহলি। কিন্তু আমার মতে এই মুহূর্তে তিন ধরণের ক্রিকেটেই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের নাম স্টিভ স্মিথ। সেটা বৃহস্পতিবার স্টিভ প্রমাণ করে দিয়েছে। কী অসাধারণ ধৈর্য্য। প্রচণ্ড চাপের মুখে ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করেছে। তাই উইকেটে দীর্ঘক্ষণ কাটানোর পরেও ক্যারিবিয়ানরা বাউন্সার দিলেও তা ‘ডাক’ করেছে। দেখেশুনে ছেড়ে দিয়েছে বল। প্রলোভিত হয়নি। সব ধরণের অবস্থায় স্টিভ মানিয়ে নিতে পারে। এই জন্যই আমার চোখে বিরাট নয়, সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ। বিশ্বকাপের মুখে স্টিভ ও ডেভিড ওয়ার্নার ফিরে এসেছে। এতদিন যাঁরা ওর বদলে খেলছিল তাঁদের জন্য খারাপ লাগছে। আবার খারাপ লাগছে সেই সব বোলারদের জন্য যাঁদের স্টিভ এবং ওয়ার্নারের মতো ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে বল করতে হবে। গত কয়েকদিনে আমাকে অনেকেই জিঞ্জাসা করেছেন, যশপ্রীত বুমরাহকে মোকাবিলা করার জন্য আপনাদের গেম প্ল্যান কী? আমি সবিনয়ে তাঁদের জানাতে চাই, যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমরা টেকনিক্যালি তৈরি। স্টিভ তো তিন-চার বল অন্তর টেকনিক বদল করে। এটাই ওর ব্যাটিংয়ের বিশেষত্ব। আমাদের দলের মানসিক দৃঢতাও দেখার মতো। তার পরিচয় তো ক্রিকেটবিশ্ব পেয়েছে গত বৃহস্পতিবার।’
ভারতের উপর চাপ বাড়াতে স্টিভ স্মিথের প্রশংসায় ফিনচ ছিলেন পঞ্চমুখ। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক আরও বলেছেন,‘রবিবারের ম্যাচে মহেন্দ্র সিং ধোনি বড় চ্যালেঞ্জ। অতি বিপজ্জনক খেলোয়াড় ধোনি। এমনকী শিখর ধাওয়ান ও রহিত শর্মাও‘ ড্যামেজ’ করতে পারে।’
গত বৃহস্পতিবারই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ম্যাচে নজর কাড়া ব্যাটিং করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার নাথান কুল্টার-নাইল। ৬০ বলে ৯২ রানের ইনিংস শুধু তাঁর ব্যক্তিগত সেরা পারফরম্যান্স নয়, বিশ্বকাপে আট নম্বরে ব্যাট করতে নামা যে কোনও ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রেও এটি সর্বাধিক রান। কিন্তু ব্যাক্তিগত ওই কীর্তি স্থাপন করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তিনি অস্ট্রেলিয়া দলে জায়গা হারাতে পারেন। কারণ প্রথম দুটি ম্যাচে কুল্টার-নাইল কোনও উইকেট পাননি। অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্ট নাথান লিঁয়কে খেলানোর কথা ভাবছে ভারতের বিরুদ্ধে। এমনকী পেসার কেন রিচার্ডসনকেও প্রথম একাদশে আনার চিন্তাভাবনা চলছে। ভারতের বিরুদ্ধে হোম সিরিজে তিনি ভালো বল করেছিলেন। কুল্টার নাইল বলেছেন, ‘দলের স্বার্থে ড্রেসিংরুমে বসতে আমি প্রস্তুত।’