কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে পর্তুগালের ক্যাপ্টেন রোনাল্ডো বলেন, ‘আমি যে কোনও ম্যাচে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে নামি। এটা ওয়ার্ক এথিকসের ব্যাপার। নিজেকে সর্বদাই মোটিভেটেড ও হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করি। সবচেয়ে বড় কথা, ফুটবল মাঠে মস্তিষ্কের সদ্ব্যবহার করার চেষ্টা করি। এখনও আমি বেশ কয়েক বছর ফুটবল খেলব।’
বলা বাহুল্য, বড় ম্যাচে এখনও পর্তুগাল দলে রোনাল্ডোর কোনও বিকল্প নেই। যদিও দ্রুত উঠে আসছেন বার্নাডো সিলভা, জোয়াও ফেলিক্স, রুবেন নেভেন, ব্রুনো ফার্নান্ডেজরা। নেদারল্যান্ডের কোচ রোনাল্ড কোম্যান বলেছেন, ‘মাঝে মধ্যেই রোনাল্ডোকে থামানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। রক্ষণ সুদৃঢ় রেখেও ওর কাছে হার মানতে হয়। তবে রবিবারের ম্যাচে আমরা বল পজেশন বেশি রাখার চেষ্টা করব। যদি রোনাল্ডোর দিকে বাড়ানো বলের সাপ্লাই লাইন কেটে দেওয়া যায়, তবে ওকে আটকে দেওয়া সম্ভব।’
তবে কোচ রোনাল্ড কোম্যান ভাগ্যবান। কারণ তিনি এমন এক ডাচ ব্রিগেড পেয়েছেন যাদের সম্পদ তারুণ্যের তেজ এবং অপরিসীম স্কিল। বিশ্বের সেরা ও সবচেয়ে দামি ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডিক ডাচ ডিফেন্সের স্তম্ভ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এই মরশুমে তিনি ‘প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ হয়েছেন। লিভারপুলকে এবার ফন ডিক উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে প্রভূত সাহায্য করেছেন। তার পাশে আয়াখস আমস্টারডামের ক্যাপ্টেন উনিশ বছর বয়সি ম্যাথিস ডে লিটকে এই মুহূর্তে বলা হচ্ছে ইউরোপের সেরা প্রতিভাবান তরুণ ডিফেন্ডার। ভার্জিল ফন ডিকের পাশে ডে লিটই স্টপারে খেলবে। গত সেমি-ফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও ডাচ ব্রিগেডের হয়ে সমতা ফেরানোর গোলটি করেছিলেন ডে লিট। রোনাল্ডো এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে জুভেন্তাসের হয়ে আয়াখসের ক্যাপ্টেন ডে লিটকে টপকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তাই এই দুই ডাচ সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারকে টপকে গোল করা কঠিন হবে রোনাল্ডোর পক্ষে। তবে পাঁচ বারের ‘ব্যালন দ্য অর’ জয়ী ফুটবলারের কাছে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। তিনি ইংল্যান্ড, স্পেন ও ইতালিতে গিয়ে লিগ খেতাব জিতেছেন। দেশকে করেছেন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন। তবে এর আগে ভার্জিল ফন ডিককে টপকে গত মরশুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে রোনাল্ডো নিজে গোল করতে পারেননি। তবে সেই ম্যাচে করিম বেনজেমা ও গ্যারেথ বেলের জোড়া গোল এবং লিভারপুলের অনিয়মিত গোলরক্ষক লরিস ক্যারিয়সের জঘন্য গোলকিপিংয়ে রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক করেছিল। ঘরের মাঠে একটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ সহজে হাতছাড়া করতে চাইবেন না রোনাল্ডো। ১৫ বছর আগে ঘরের মাঠে ২০০৪ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে পরাজয়ের স্মৃতি এখনও ভুলতে পারেননি সিআর সেভেন।