বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
টিম হোটেল ছাড়ার আগে শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলিদের ঘিরে সমর্থকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। রিভারব্যাঙ্ক পার্ক প্লাজার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা সই শিকারিদের হতাশ করেননি ভারতীয় ক্রিকেটাররা। নিরাপত্তার কড়াকড়ি সত্ত্বেও ‘টিম ইন্ডিয়া’র সদস্যরা উৎসাহী সমর্থকদের দেদার অটোগ্রাফ দিয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং--তিন বিভাগেই ভারতীয় দল আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেনি। কিছুটা ব্যতিক্রমী ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৫০ বলে ৫৪ রান করার পাশাপাশি বল হাতেও দাগ কাটতে সফল হয়েছিলেন ভারতীয় স্পিন-অলরাউন্ডারটি। জাদেজা ৭ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৭ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট। সেই তুলনায় ভারতীয় দলের দুই তারকা রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চাহাল কিন্তু প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পারেননি। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের অনেকেই বলছেন, বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের উচিত জাদেজাকে খেলানো।
তবে প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারলেও ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি মোটেও বিচলিত নন। তিনি ঘুরিয়ে আবহাওয়াকে দায়ী করেছেন। তবে কোহলি যাই বলুন, ইংল্যান্ডের মাটিতে বল স্যুইং করলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা সমস্যায় পড়বেন। সেটাই হয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে। তবে এবারের বিশ্বকাপে উইকেট অনেক বেশি ব্যাটিং সহায়ক হবে বলেই শোনা যাচ্ছে। একই মত রবীন্দ্র জাদেজারও। তিনি বলেছেন, ‘শুরুতে উইকেট থেকে পেসাররা সুবিধা পেয়েছে। ইংল্যান্ডের উইকেট যেমন হয়, ঠিক সেরকম। তবে ম্যাচ যত গড়িয়েছে উইকেট অনেক সহজ হয়েছে। তবে বিশ্বকাপের মূলপর্বে পিচে এত বেশি ঘাস থাকবে বলে মনে হয় না। ব্যাটিং করা অনেক সহজ হবে সেক্ষেত্রে।’
ভারতীয় দল প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৭৯ রান তোলে। দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা বড় রান পাননি। যা দেখে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই। জাদেজা বলছেন, ‘ইংল্যান্ডের মাটিতে পা রাখার পর এটাই ছিল আমাদের প্রথম ম্যাচ। তাই একটা ইনিংস দিয়ে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের শক্তি মাপা ঠিক হবে না। আমরা ব্যাটিং নিয়ে মোটেও চিন্তিত নই। উপমহাদেশের ব্যাটসম্যানদের ইংল্যান্ডে সাফল্য পেতে একটু সময় লাগে। আমরা দেশে ফ্ল্যাট উইকেটে খেলি। এখানে বল অনেক বেশি স্যুইং করে। ইংলিশ কন্ডিশনে যত বেশি প্র্যাকটিস করব, তত তাড়াতাড়ি রপ্ত করতে পারব। আমরা তাই মোটেও চিন্তিত নই। সব কিছু শেষে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আমাদের ব্যাটিং খুবই শক্তিশালী। আরও পরিশ্রম করব সবাই মিলে। দলে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের সংখ্যা অনেক বেশি। তাই এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সমস্যা হবে না।’
সিমিং কন্ডিশনে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত কি সঠিক? জবাবে জাদেজা বলেন, ‘আমরা জেনে বুঝেই আগে ব্যাট করতে চেয়েছিলাম। যাতে আসল ম্যাচে এরকম কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাটসম্যানদের সুবিধা হয়। হয়তো আমরা ভালো ব্যাট করতে পারিনি। তবে সমর্থকদের এটুকু আশ্বস্ত করতে পারি যে, হতাশ হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি।’
নিজের ব্যাটিং প্রসঙ্গে জাড্ডু বলেন, ‘আমি যখন ব্যাট করতে নামি তখন অনেক ওভার বাকি ছিল। আমি মনে মনে বলছিলাম, ভুল শট খেলব না। কারণ, তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন ছিল না। কয়েকটা ওভার কাটিয়ে দিতে পারলে এই পিচেও যে রান করা সম্ভব, সেই বিশ্বাস আমার মধ্যে ছিল। এই ইনিংস আমার আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। আইপিএলের সময় আমি ব্যাটিংয়ের উপর বাড়তি জোর দিয়েছিলাম। আমি যখনই সুযোগ পাই, তখনই নেটে ব্যাট করার চেষ্টা করি। ব্যাটসম্যান হিসাবেও দলকে আমি সাহায্য করতে চাই।’