পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
২০১৯ বিশ্বকাপের সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন নিয়ে বিশেষজ্ঞরা নিজেদের মতামত প্রকাশ করে চলেছেন বেশ কিছুদিন ধরেই। তবে ম্যান অব দ্য সিরিজ কে হতে পারেন, তা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেননি কেউই। প্রথমবার সেই পথে হাঁটলেন ব্রেট লি। সদ্য নির্বাসন কাটিয়ে ফেরা ডেভিড ওয়ার্নারের রান করার খিদে ও নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখে ব্রেট লি নিশ্চিত যে, বিশ্বকাপ মাতাতে চলেছেন বাঁহাতি এই ওপেনারই। তাছাড়া এই মুহূর্তে ওয়ার্নারকে সব থেকে ফিট বলে মনে হয়েছে তাঁর। সদ্য সমাপ্ত আইপিএলে তাঁর বিধ্বংসী ফর্ম আশাবাদী করে তুলেছে ব্রেট লিকে। ওয়ার্নার যে রকম ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন আইপিএলে, তা বিশ্বকাপেও ধরে রাখবেন বলে মত অজি স্পিডস্টারের। তাই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হয়ে ওয়ার্নার ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার জিততে পারেন বলে মনে করেন ব্রেট লি। তাঁর কথায়, ‘দীর্ঘদিন ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার ফলে ওয়ার্নারের রানের খিদে বেড়ে গিয়েছে। এতদিন না খেলেওে ওর ব্যাটের ধার বিন্দুমাত্র কমেনি। আইপিএলে তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। জীবনের সেরা ফর্মের ঝলক দেখেছি ওর মধ্যে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আসন্ন বিশ্বকাপেও ব্যাট হাতে মাঠ কাঁপাবে ওয়ার্নার। ওর হাতেই উঠতে পারে বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটারের ট্রফি।’ উল্লেখ্য, ২০১৯ আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ১২ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও ৮টি হাফ-সেঞ্চুরি সহ ৬৯২ রান করেছেন ওয়ার্নার। টি-টোয়েন্টিতেও গড় ৬৯.২০। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪৩.৮৬। টুর্নামেন্ট শেষের আগেই জাতীয় দলের প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দিতে দেশে ফিরলেও আইপিএলের অরেঞ্জ ক্যাপ জেতেন ওয়ার্নারই।
ওয়ার্নারের প্রশংসা করার পাশাপাশি ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মাটিতে এবারের বিশ্বকাপে বোলারদের সতর্ক করে দিয়েছেন ব্রেট লি। ইংল্যান্ডের পিচে সুইং থাকলেও তিনি মনে করেন না, বিশ্বকাপের মতো আইসিসির ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্টে বোলারদের অনুকূল পিচ হবে। বরং তাঁর ধারণা, ব্যাটসম্যানরাই রাজ করবে গোটা টুর্নামেন্টে। তারই মধ্যে ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন তিনজন বোলারকে বেছে নিয়েছেন প্রাক্তন অজি পেসারটি। সেই তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের পাশাপাশি রয়েছেন ভারতের জশপ্রীত বুমরাহও। নিজের যুক্তির সপক্ষে ব্রেট লি বলেন, ‘বুমরাহ অসাধারণ একজন বোলার। ওর দখলে বেশকিছু রেকর্ড রয়েছে। ওর হাতে ভালো পেস আছে। শুধু তাই নয়, সে ধারাবাহিক ভাবে দারুণ ইয়র্কার করতে পারে। ফলে বিশ্বকাপে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে বুমরাহ। পছন্দের বোলারদের তালিকায় স্টার্ককেও বেছে নিতে হবে। কারণ সে একজন বিশ্বমানের পেসার। এখনও সে তার দক্ষতা ধরে রেখেছে। তার পেস সামলানো খুব সহজ নয়। আর কামিন্সের বলেও দারুণ গতি রয়েছে। সে লাইন-লেংথ বজায় রেখে বৈচিত্রপূর্ণ বোলিং করতে পারে। এই তিন বোলারের ওপর অনেকটাই নির্ভর করবে এবারের বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ।’ উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বিশ্বকাপের সেরা প্লেয়ার হয়েছিলেন মিচেল স্টার্ক। নিয়েছিলেন ২২টি উইকেট। এবারও সে রকম ফর্মেই স্টার্ককে দেখতে চাইছেন ব্রেট লি।