বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অনুশীলনের শুরুতে দুই দলে ভাগ হয়ে ভারতীয় ক্রিকেটাররা ফুটি খেলায় মেতে ওঠেন। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল প্র্যাকটিসের শুরুতে অনেকটা সময় ফুটবল খেলত। বিরাট কোহলির জামানাতেও সেটা বজায় রয়েছে। আসলে, ধোনির মতো কোহলিও ফুটবল-ভক্ত। অনুশীলনের দ্বিতীয় পর্ব ছিল আরও বেশি আকর্ষণীয়। যার পোশাকি নাম ‘বিব ক্যাচিং’। প্রত্যেক ক্রিকেটারের পিছনে একটা করে বিব ঝোলানো থাকবে। যে ক্রিকেটাররা সব থেকে বেশি বিব কেড়ে নিতে পারবে, সেই জয়ী হবে। এই ধরনের অনুশীলনে ক্রিকেটারদের মধ্যে খুব ভালো ‘বন্ডিং’ গড়ে ওঠে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
একেবারে শেষে ওভালের নেটে নকিং করেন কোহলিরা। তিনটি নেটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য। একটি নেটে স্পিনারদের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে দেখা গিয়েছে ক্যাপ্টেন কোহলিকে। মাঝের নেটে ভারতীয় দলের এক সাপোর্ট স্টাফ থ্রো-ডাউন দেন। তার পাশের নেটে পেসাররা হাত ঘোরান।
ক্যাপ্টেন কোহলির এটাই প্রথম বিশ্বকাপ। তিনি অধিনায়ক হওয়ার পর বিদেশের মাটিতে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছে ‘টিম ইন্ডিয়া’। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে নজির গড়েছে ভারত। তবে বিরাটের পাখির চোখ এখন বিশ্বকাপে। তিনি জানেন, দেশকে তৃতীয়বার বিশ্বকাপ এনে দিতে পারলে অধিনায়কের পদ সুনিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে ভারতের কাছে লড়াই মোটেও সহজ হবে না। দু’বছর আগে এই ইংল্যান্ডের মাটিতেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল কোহলি বাহিনীকে। শুধু পাকিস্তান নয়, বিশ্বকাপ জয়ে ভারতের পথে বড় কাঁটা অবশ্যই আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড। তবে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা কিন্তু ভারতকেও কাপ জয়ের অন্যতম ফেভারিট মনে করছেন। কোহলির বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন সফল করার ক্ষেত্রে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভূমিকা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। অনেকে বলছেন, ভারতীয় দলের অর্জুন যদি কোহলি হন, তাহলে কৃষ্ণের ভূমিকায় দেখা যাবে মাহিকে।