কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মূলত ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বর পজিশনের জন্য বিজয় শঙ্করকে দলে রেখেছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ভালো পেস বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটসম্যান হিসাবেও সুনাম রয়েছে বিজয় শঙ্করের। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচে তাঁকে চার নম্বরে খেলতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়াও পেস অলরাউন্ডার হিসাবে যথেষ্ট সফল। যদিও তিনি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসাবে কখনও ভারতীয় দল কিংবা আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দায়িত্ব সামলাননি। মূলত ডেথ ওভারে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে তাঁর সুনাম রয়েছে অনেক বেশি। তবুও অনেকে হার্দিকের সঙ্গে বিজয়ের ঠান্ডা লড়াই হবে বলে মনে করছেন। কিন্তু আনফিট না হলে হার্দিক হয়তো বেশিরভাগ ম্যাচে ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি খেলবেন। সেদিক থেকে বিজয় শঙ্করের জায়গা সুনিশ্চিত নয়। কারণ, চার নম্বরে তাঁকে ভাবা হচ্ছে ঠিকই, তবে ইংল্যান্ডের মাটিতে এই গ্রীষ্মে প্রচুর রান উঠবে। হাইস্কোরিং ম্যাচে অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান খেলালে ফর্মে থাকা লোকেশ রাহুলকেও চার নম্বরে খেলতে দেখা যেতে পারে। তবে বিজয় অবশ্য এসব নিয়ে ভাবছেন না। তিনি বলেছেন,‘আমার কখনই মনে হয়নি প্রথম একাদশে ঢোকার ব্যাপারে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে আমার লড়াই আছে। হার্দিক অসাধারণ ক্রিকেটার। এটাও ঠিক যে আমরা দু’জনেই অলরাউন্ডার। তবে দলে আমাদের ভূমিকা একেবারেই ভিন্ন। তার পরেও অনেকে কোথায় লড়াই দেখছেন? আমি বরং খুশি হব, দু’জনেই যদি দলকে জেতানোর ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারি।’
আইপিএলের পরেই ২৭ বছর বয়সী তামিলনাড়ুর পেস অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্কর বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন নিজের মতো করে। তিনি বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে আমার আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। বেশ কয়েকটা ভালো ইনিংস খেলেছিলাম। তবে আলাদা করে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে আমার কোনও পছন্দ নেই। টিম যেখানে চাইবে সেখানেই খেলব। তার জন্য মানসিকভাবে আমি তৈরি।’
আইপিএলের পরেই বিশ্বকাপ হওয়ায় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট ক্রিকেটারদের বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। তবে বিজয় শঙ্কর সেই সময়টা কাজে লাগিয়েছে ত্রুটি শুধরে নেওয়ার জন্য। তিনি ছোটবেলার কোচকে নিয়ে ইনডোরে প্র্যাকটিস করেছেন। আইপিএলে খেলার সময় ভিভিএস লক্ষ্মণের থেকেও তিনি মূল্যবান পরামর্শ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজয়। তিনি আরও বলেন, ‘গুরু নানক বিশ্ববিদল্যালয়ের গ্রাউন্ডে আমি প্র্যাকটিস করে থাকি। তবে ইন্ডোরে আমি ফুল লেংথে বল করতে পারিনি। রান আপের জায়গা কম ছিল। কিন্তু একটা উইকেট রেখে প্র্যাকটিস করেছি। যাতে নিশানা নিখুঁত করতে পারি। ছোটবেলায় ঘণ্টায় ১২০ কিমি গতিতে বল করতাম। সেটা বাড়িয়ে ১৩৫-এ নিয়ে এসেছি। পেস বোলার হিসাবে যা আমাকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছে।’
ভারতীয় দলের সিনিয়র সদস্যদের থেকে তিনি বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ নেন বলে জানিয়েছেন বিজয় শঙ্কর। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মাঠের বাইরে আমি খুব একটা কথা বলি না। তবে যখন প্রয়োজন পড়ে তখন মাহি ভাইয়ের কাছে ছুটে যাই। বিরাটের থেকেও পরামর্শ নিই। ওরা আমাকে দারুণ সাহায্য করে। কিছু জানার ক্ষেত্রে লজ্জা করে লাভ কী।’
ক্রিকেটের চাপে তাঁর ম্যানেজমেন্ট কোর্স বিশ বাঁও জলে। বিজয় বলেছেন, ‘আমি এমবিএ শেষ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ক্রিকেট খেলায় এতটা ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে পড়াশোনার সময় পাইনি।’ প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন বিজয় শঙ্কর। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর পরিবার একটু বেশিই উত্তেজিত। ছেলের খেলা মাঠে বসে দেখার জন্য বিজয়ের বাবা-মা ইংল্যান্ড উড়ে যাবেন কয়েকদিন পরেই। দাদাও যাচ্ছেন পরিবারের সঙ্গে। ভারতীয় দলের পেস অলরাউন্ডারটি জানান, ‘বিশ্বকাপ বড় টুর্নামেন্ট। প্রচুর চাপ থাকে। পরিবার পাশে থাকলে সুবিধা হবে।’