লন্ডন, ২১ মে: দু’জন স্পিনার নিয়ে এবার বিশ্বকাপে অভিযান শুরু করছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাটাকিং লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার সঙ্গে অজি স্পিন আক্রমণের শক্তি বাড়াতে থাকছেন অভিজ্ঞ অফ স্পিনার নাথান লিয়ঁ। সম্প্রতি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে অস্ট্রেলিয়া সহজেই একদিনের সিরিজ জিতেছিল। ওই সিরিজে জাম্পা ও লিয়ঁ পাঁচটি ওডিআই ম্যাচে যৌথভাবে ১২টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে অ্যাডাম জাম্পা বলেছেন, ‘ভারত সফরের পর নাথান লিয়ঁ’র সঙ্গে আমি একদিন আড্ডা মারছিলাম। তখন আমি ওকে বলেছিলাম, আমরা দু’জনে মিলে আসন্ন বিশ্বকাপে বিশাল ভূমিকা নিতে পারি। তাই আমাদের দু’জনের একসঙ্গে অস্ট্রেলিয়া দলে থাকা দরকার। তখনও নিশ্চিত ছিল না আমরা দলে নির্বাচিত হব কি না। আমাদের দু’জনের ভূমিকায় পার্থক্য আছে। লিয়ঁ নিখুঁত লেন্থে দীর্ঘ সময় বল করে যেতে পারে। খুব উঁচু মানের অফ স্পিনার ও। ব্যাটসম্যানরা ওর বলে ইচ্ছেমতো পেটাতে পারে না। এর ফলে উল্টো দিক থেকে আমি উইকেট নেওয়ার জন্য আক্রমণে যেতে পারি।’
গত গ্রীষ্মে ইংলিশ কাউন্টি লিগে এসেক্সের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে জাম্পার। তিনি মনে করেন, বোলিং পার্টনারের সঙ্গে আলোচনা করে বল করলে তাতে লাভ হয়। নেট প্র্যাকটিসেও আমি লিয়ঁ সঙ্গে বোলিং নিয়ে আলোচনা করি। এমনকী, ফিল্ড প্লেসমেন্ট নিয়েও আলোচনা করে থাকি। মনে করুন আপনি টপ ফর্মে থাকা বিরাট কোহলি বা জস বাটলারের বিরুদ্ধে বল করছেন। তখন অনেক হিসেব করে বল করতে হয়। একটা আলগা বল পেলেই ওরা মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেবে। আমরা মূলত মিডল ওভারে বল করার সুযোগ পাই। তাই চেষ্টা থাকে, উইকেট নেওয়ার মতো ডেলিভারি করার। মিডল ওভারে উইকেট তুলে নেওয়া যে কোনও স্পিনারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।’
আগামী ১ জুন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছে অস্ট্রেলিয়া। আফগান স্পিনার রশিদ খানের সঙ্গে অতীতে নেট প্র্যাকটিস করার অভিজ্ঞতা হয়েছে জাম্পার। রশিদকে বড় মাপের স্পিনার বলেই মনে করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘ওকে দেখলেই আমার ঈর্ষা হয়। কারণ ওর মতো বল করতে হয়তো আমি কোনও দিনই পারব না। তবে ওর সঙ্গে লেগ স্পিন নিয়ে আমার কথোপকথনের টিপস আমি ক্যাপ্টেন ফিঞ্চকে জানিয়ে দেব। রশিদ খান এক বিরল গোত্রের লেগ স্পিনার।