যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই তিনশোর ওপর রান করেছেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। তবু কোনও ম্যাচ জিততে পারেনি তারা। আর সেটা জঘন্য বোলিংয়ের কারণেই। পাক বোলাররা ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ন্যূনতম চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেনি। যার জেরে তীব্র সমালোচিত হচ্ছেন প্রধান কোচ মিকি আর্থার ও ব্যাটিং কোচ গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার। দলের সাম্প্রতিক ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন আর্থার। সোমবার সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক যে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে আমরা প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারিনি। কিন্তু এখনই নিরাশ হওয়ার কারণ নেই। আমার বিশ্বাস, এই সিরিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দ্রুত ভুলত্রুটিগুলি শুধরে নেবে আমাদের ক্রিকেটাররা। দেখবেন, বিশ্বকাপে এই দলের চেহারাই কেমন বদলে যায়! কথাটা আমি এত জোর দিয়ে বলতে পারছি কারণ ছেলেদের চোখেমুখে আমি দৃঢ়তা ও সংকল্প দেখেছি। ইংল্যান্ডের কাছে এভাবে সিরিজ হারটা ওরা কেউ মেনে নিতে পারেনি।’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের বোলিং যদি একটু ভালো হত, তাহলে এই সিরিজের ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু অধিকাংশ বোলারই প্রত্যাশার ধারেকাছে পৌঁছাতে পারেনি। এই নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে বিস্তর আলোচনা করেছি। অনুশীলনেও বোলারদের নিয়ে বাড়তি পরিশ্রম করছে সাপোর্ট স্টাফরা। আশা করি, বিশ্বকাপে চেনা ছন্দে ফিরে আসবে বোলাররা।’
বোলিং নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও দলের ব্যাটিং নিয়ে দারুণ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মিকি আর্থার। তাঁর কথায়, ‘ইংল্যান্ডের শক্তিশালী বোলিং লাইন-আপের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যাটসম্যানরা খুবই ভালো পারফরম্যান্স করেছে। টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডার সবাই বড় রান পেয়েছে। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক দিক। আমার বিশ্বাস, ইংল্যান্ডের পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে আগেভাগে মানিয়ে ওঠার এই সুযোগটা বিশ্বকাপে দারুণ ভাবে কাজে লাগাবে ব্যাটসম্যানরা।’ অসুস্থতা কাটিয়ে তারকা পেসার মহম্মদ আমিরের বিশ্বকাপ দলে ফেরাটাও স্বস্তি দিয়েছে কোচ আর্থারকে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমির আমাদের দলের বড় সম্পদ। বিশ্বকাপে ওর সার্ভিস পাওয়াটা আমাদের কাছে লাভদায়ক হবে।’