যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
রাফায়েল নাদালের বছরের সূচনা হয়েছিল হতাশা দিয়ে। বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে ডকোভিচের কাছে তাঁকে হারতে হয়েছিল। তাও আবার স্ট্রেট সেটে। তবে সেই প্রতিশোধটা দ্রুত মিটিয়ে নিলেন স্প্যানিশ তারকা। রবিবার ফাইনালে ডকোভিচকে তিনি হারালেন একেবারে ‘বেগেল’ সহকারে। রাফা-জোকার মহাদ্বৈরথে সবাই যখন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের প্রতীক্ষায় ছিলেন, তখন প্রথম সেটটাই ছিল অবাক করা। ক্লে কোর্টের সম্রাট নাদালের ফোরহ্যান্ড ডাউন দ্য লাইন বা টপ-স্পিনের কোনও জবাব ছিল না ডকোভিচের কাছে। সার্বিয়ান তারকা যেন স্রেফ দর্শক! প্রথম সেটে একবারও ধরে রাখতে পারলেন না নিজের সার্ভিস। বিশ্বের দুই নম্বর নাদাল সেট নিয়ে গেলেন ৬-০ গেমে। টেনিসের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘বেগেল’। বেগেল মূলত পোল্যান্ডে তৈরি হওয়া এক ধরনের পাউরুটি। আকৃতিতে অনেকটা আংটি বা শূন্যের মতো। টেনিসে কেউ কোনও সেট ৬-০ গেমে হারলে তাকে ‘বেগেল’ দেওয়া বলে। এই নিয়ে কেরিয়ারে মোট ১০৬ বার প্রতিপক্ষকে ‘বেগেল’ দিলেন নাদাল। তার মধ্যে এই ইতালিয়ান ওপেনেই চারটি। তাই বলে ডকোভিচকে ‘বেগেল’ দেওয়া! অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি।
দ্বিতীয় সেটে অবশ্য দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন ডকোভিচ। ৪-৪ পর্যন্ত কোনও ফারাক ছিল না। তারপরই নাদালের সার্ভিস ব্রেক করে ৬-৪ গেমে দ্বিতীয় সেট জিতে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনেন সার্বিয়ান তারকা। কিন্তু তৃতীয় সেটে ফের ভয়ঙ্কর মেজাজ ধারণ করেন নাদাল। শুরুতেই ডকোভিচের সার্ভিস ব্রেক করেন তিনি। আর ফেরার সুযোগ পাননি জোকার। এই সেটেও তিনবার তাঁর সার্ভিস ভাঙেন নাদাল। নিশ্চিত করে ফেলেন নবম ইতালিয়ান ওপেন খেতাব। ফ্রেঞ্চ ওপেনের আগে যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে স্প্যানিশ তারকার তাঁর মনোবল। এরআগে চলতি বছর মন্টেকার্লো, বার্সেলোনা ও মাদ্রিদ ওপেনে সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিলেন নাদাল। শেষ পর্যন্ত ক্লে-কোর্টে মরশুমের প্রথম শিরোপার দেখা পেলেন তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই দারুণ উচ্ছ্বসিত নাদাল। ম্যাচ শেষে বলেন, ‘একটা ট্রফি জেতা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেটা পেয়ে ভালো লাগছে। তবে আমার কাছে সবচেয়ে জরুরী বিষয় হল লড়াই করার মতো জায়গায় উঠে আসতে পারা। নিজেকে ফিট অনুভব করা। যে পর্যায়ে নিজের খেলাটা আমি নিয়ে যেতে চাইছি, সেখানে পৌঁছাতে পারলে আমি আরও খেতাব জিততে পারব। বিশেষ করে ক্লে-কোর্টে। তাই এই জয়ে আমি দারুণ খুশি হয়েছি। ফরাসি ওপেনের আমার আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গেল। এই মুহূর্তটা আমি উপভোগ করতে চাই।’ নাদাল আরও বলেন, ‘নোভাক বা রজারের বিরুদ্ধে এই ধরনের ম্যাচ দারুণ রোমাঞ্চকর। নোভাক খুব ভালো খেলছে। কিন্তু দিনটা ওর ছিল না।’ অন্যদিকে, খেতাব হাতছাড়া করেও কোনও আপশোস করছেন না ডকোভিচ। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি ক্লান্তির অজুহাত দেব না। রাফা আজ দুরন্ত খেলছে। ওকে হারানো সত্যিই খুব কঠিন ছিল। তবু তৃতীয় সেট পর্যন্ত যে খেলাটা নিয়ে যেতে পেরেছি, তাতেই আমি খুশি।’