যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
বিশ্লেষণটা মন্দ করেননি প্যাডি আপটন। গ্যারি কার্স্টেনের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়াতেই অতীতে টিম ইন্ডিয়া বিশ্বসেরা হয়েছে। প্রখর ক্রিকেটবোধ এবং খেলোয়াড়দের মানসিকতা বোঝার ক্ষমতা আপটনের মূলধন। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে ভারতকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার পর তাঁর প্রশংসা বারবার শোনা গিয়েছে কার্স্টেনের মুখে। সেই প্যাডি আপটনের ধারণা, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ে চমৎকার ভারসাম্য রয়েছে। ডেল স্টেইনের অভিজ্ঞতা, তরুণ কাগিসো রাবাডা এবং দুরন্ত ফর্মে থাকা লেগ স্পিনার ইমরান তাহির প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে। ব্যাটসম্যানরা যদি ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে তাহলে এবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে রোখা মুশকিল।’ উল্লেখ্য, এবি ডি’ভিলিয়ার্সের অনুপস্থিতি ঢাকাই এবার ডু’প্লেসি, হাসিম আমলা, ডুমিনিদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
সদ্যসমাপ্ত আইপিএলে অনবদ্য খেলেছেন কাগিসো রাবাডা এবং ইমরান তাহির। তাঁদের সংগ্রহ যথাক্রমে ২৬ ও ২৫টি উইকেট। শেষপর্বে সুযোগ পেয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ভরসা দিয়েছেন ডেল স্টেইনও। ইংল্যান্ডের মাটিতে এই ত্রিফলাই প্রোটিয়াদের জয়ের পাসওয়ার্ড হতে পারে। নতুন বলে স্টেইন-গান বিপক্ষ ব্যাটিং লাইন-আপে ধস নামানোর জন্য যথেষ্ট। তবে তারজন্য বিশ্বকাপের আগে ম্যাচ ফিট হয়ে উঠতে হবে ৩৫ বছর বয়সী স্টেইনকে। এখনও পর্যন্ত একদিনের ক্রিকেটে ১৯৬টি উইকেট প্রাপ্ত এই অভিজ্ঞ পেসার অবশ্য তৈরি ইংল্যান্ডে তাঁর সেরা পারফরম্যান্স উজাড় করে দিতে। কাগিসো রাবাডার হাতেও রয়েছে স্যুইংয়ের নিয়ন্ত্রণ। পাশাপাশি ডেথ ওভারে কৃপণ হতে কার্পণ্য করেন না তিনি। মিডল ওভারে ইমরান তাহিরের বৈচিত্র্য অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা শক্তি। গুগলি ও ফ্লিপারের সুনিপুণ ব্যবহার এই রিস্ট স্পিনারকে ইদানীং রহস্যময় করে তুলেছে।
ব্যাটিং লাইন-আপ নিয়ে অবশ্যই সমস্যা রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। বিগ ম্যাচ উইনার বলতে সেরকম কেউ নেই। ডেভিড মিলার, ডুমিনিরা কীভাবে নিজেদের অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খুলে ম্যাচ বের করতে পারেন সেটাই এখন দেখার। বড় রানের জন্য অধিনায়ক ডু’প্লেসি, কুইন্টন ডি কক এবং হাসিম আমলাকে ধারাবাহিকভাবে রান করতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কোচ ওটিস গিবসনের ধারণা, শক্তিশালী বোলিং এবং নির্ভরযোগ্য বাটিংয়ের পাশাপাশি দুরন্ত অল-রাউন্ড ফিল্ডিংই এবার ইংল্যান্ডে প্রোটিয়া বাহিনীকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দেবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোয়াড:
ফাফ ডু’প্লেসি (অধিনায়ক), কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), হাসিম আমলা, এডেন মার্করাম, রাসি ফন ডার ডুসেন, ডেভিড মিলার, জেপি ডুমিনি, অ্যান্ডিল ফেলহুকায়ো, ডোয়েন প্রিটোরিয়াস, ডেল স্টেইন, কাগিসো রাবাডা, লুঙ্গি এনগিডি, ক্রিস মরিস, ইমরান তাহির, তাবরেজ সামসি।