বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
(কুকুরেয়া, ডে ব্লাসিস) (লিও মেসি-২)
মাদ্রিদ, ১৯ মে: প্রাণভোমরা লিও মেসির জোড়া গোল। তা সত্ত্বেও মরশুমের শেষ ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেল না বার্সেলোনা। রবিবার লিগের অ্যাওয়ে ম্যাচে এইবরের বিরুদ্ধে তাদের ম্যাচ শেষ হল ২-২ গোলে। ৩৮ ম্যাচে ৮৭ পয়েন্টে লিগ শেষ করল এবারের চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচ শেষে আর্নেস্তো ভালভার্দে বলেন, ‘কোপা দেল রে খেতাব জেতাই এখন লক্ষ্য। মরশুম শেষে ফুটবলারদের মধ্যে ক্লান্তির ছাপ সুস্পষ্ট। তা সত্ত্বেও ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয় ট্রফি জিততে চাই।’
চলতি মরশুমে রক্ষণ বারবার ভুগিয়েছে বার্সেলোনাকে। রবিবারও তার অন্যথা হয়নি। ২০ মিনিটে জেরার্ড পিকে পা হড়কে পড়ে যাওয়ার সুযোগে গোলের পথ গড়ে এইবর। সের্গি এনরিখের বাড়ানো বল পেয়ে গোল করতে ভুল হয়নি সুযোগসন্ধানী কুকুরেয়ার (১-০)। এরপর অবশ্য মেসির সৌজন্যে ব্যবধান মুছে লিড নেয় বার্সেলোনা। ৩১ মিনিটে আর্তুরো ভিদালের পাস থেকে আর্জেন্তাইন মহাতারকাটির শট জালে জড়ায় (১-১)। এর পরের মিনিটেই নিজেদের অর্ধ থেকে বাড়ানো ইভান র্যাকিটিচের ‘জেম অব আ থ্রু’ খুঁজে নেয় মেসিকে। বিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে বক্সে পৌঁছান তিনি। তারপর তাঁর বাঁ পায়ের পেলব স্পর্শের চিপ গোলরক্ষককে হার মানায় (২-১)। কিন্তু মেসি ও ভিদাল ছাড়া বার্সেলোনার বাকি ফুটবলারদের পারফরম্যান্স আদৌ পাতে দেওয়ার মতো নয়। ম্যালকম, জেরার্ড পিকে, সের্গি রবার্তোরা ঘনঘন মিস পাস করে এইবরকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দেন। বিরতির অব্যবহিত আগে গোলরক্ষক সিলেসেনের ভুলে সমতা ফেরায় এইবর। পিছন থেকে ভেসে আসা বল বিপন্মুক্ত করার জন্য বক্সের বাইরে এসে হেড করেন বার্সার দুর্গপ্রহরী। ফিরতি বল প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের দুরন্ত ভলিতে জাল কাঁপান ডে ব্লাসিস (২-২)। সিলেসেন শেষ মুহূর্তে তা বাঁচানোর চেষ্টা করেও সফল হননি।
ঘরের মাঠে আয়োজিত ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনাকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলে এইবর। পাসিং অ্যান্ড প্রেসিং ফুটবল মেলে ধরে এনরিখ-ওরেয়ানারা চাপে ফেলেন বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের। পরিবর্ত হিসেবে কার্লোস অ্যালেনা এবং কার্লেস পেরেজকে নামিয়েও লাভের লাভ কিছু হয়নি বার্সেলোনা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দের। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে মেসি বিপক্ষ রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা করেন। কিন্তু যোগ্য সহযোগিতার অভাবে তা রূপায়িত হয়নি। ৬১ মিনিটে জেরার্ড পিকের প্রয়াস রুখে দেন এইবর গোলরক্ষক। শেষ পর্বে বার্সেলোনার প্রাধান্য থাকলেও তা তৃতীয় গোল তুলে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।