বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কিন্তু শুক্রবার নটিংহ্যামে জেসন রয় যখন দলকে জেতানোর জন্য লড়াই করছিলেন, তখন তাঁর অসুস্থ শিশুকন্যা হাসপাতলে ভর্তি। আগের রাতের বেশির ভাগ সময় কন্যার পাশে হাসপাতালে ছিলেন তিনি। তবে রয় যেভাবে খেলেছেন তাতে মনেই হয়নি তাঁর ওপর দিয়ে এত বড় ধকল গেছে। ম্যাচ শেষে বিবিসি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সেই ঝড়ের কথা। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টায় অসুস্থ কন্যাকে নিয়ে হাসপাতালে যান জেসন রয় ও তাঁর স্ত্রী। কন্যাকে হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের মুখে মেয়ের বিপদমুক্ত হওয়ার খবর শুনে তিনি যখন টিম হোটেলে ফেরেন তখন সকাল হয়ে গিয়েছে। হোটেলে কিছুটা সময় ঘুমিয়েই দলের সঙ্গে মাঠে পৌঁছে যান তিনি। দলকে জিতিয়ে আবার ম্যাচ শেষে দ্রুত ছুটে যান হাসপাতালে প্রিয় কন্যার কাছে।
নাটকীয় এই পরিস্থিতি সম্পর্কে আবেগতাড়িত রয় বলেন, ‘এটি আমার জীবনের সেরা ইনিংস না হলেও এমন কঠিন পরিস্থিতির কারণে এই ইনিংস আমার কাছে স্পেশাল হয়ে থাকবে। আগের রাত থেকে সকালটা খুবই খারাপ গিয়েছে। তাই আমার ও আমার পরিবারের কাছে এটি বিশেষ কিছু।’ সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘আমার শিশু কন্যাটি হাসপাতালে ভর্তি। রাত দেড়টায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে। সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত আমি হাসপাতালে ছিলাম। এরপর হোটেলে ফিরে কয়েক ঘণ্টা ঘুমাতে পেরেছি। তারপর ওয়ার্ম-আপ শুরুর আগে আমি মাঠে পৌঁছে যাই। তাই এই সেঞ্চুরির সঙ্গে অনেক আবেগ জড়িয়ে রয়েছে।’ উল্লেখ্য, জেসন রয়ের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের অষ্টম ওয়ান ডে সেঞ্চুরি এটি।
স্লো ওভার রেটের কারণে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা থাকায় পাকিস্তানের বিপক্ষে চতুর্থ ওয়ান ডে’তে খেলতে পারেননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন জস বাটলার। টসে আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ৩৪০ রান তোলে পাকিস্তান। বাবর আজম ১১৫ রান করেন। এছাড়া হাফ-সেঞ্চুরি পান মহম্মদ হাফিজ (৫৯) ও ফখর জামান। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৪১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় ইংল্যান্ড। জেসন রয়ের ১১৪ রানের পাশাপাশি বেন স্টোকস অপরাজিত ৭১ ও জেমস ভিন্স ৪৩ রান করেন।