কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এখানে আগে একটি পুরানো স্টেডিয়াম ছিল। সেই পরিকাঠামোকে মোটামুটি রেখে দিয়ে নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে স্টেডিয়ামটির। দর্শক সংখ্যা আগে ছিল ৬০ হাজার। নতুন করে সংস্কার হওয়ার পর দর্শক আসন কমেছে ২০ হাজার। এই স্টেডিয়ামটি সংস্কারের সময়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। শ্রমিকরা ঠিক মতো পেমেন্ট পাচ্ছেন না এমন কথাও রটেছিল। শেষ পর্যন্ত সব বিতর্ক দূরে সরিয়ে রেখে স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন হল নির্বিঘ্নে। ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের খেলা হবে আটটি স্টেডিয়ামে। এর মধ্যে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন আগেই হয়ে গিয়েছে। এই বছর এই খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামেই হবে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস। প্রতিযোগিতার প্রায় সাড়ে তিন বছর আগেই দ্বিতীয় স্টেডিয়ামটি দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হল। এটি বিশ্বের অন্যতম দামি স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামের পিছনে ৫৭৫ ইউ এস ডলার খরচ করা মুখের কথা নয়। তবে কাতার সরকার স্টেডিয়ামটি তৈরি করতে কার্পণ্য করেনি। তাই স্টেডিয়ামটি দেখতে বৃহস্পতিবার স্থানীয় মানুষজনের পাশাপাশি কর্মসূত্রে এখানে থাকা ভারতীয় কিংবা মালয়েশিয়ানরাও ভিড় করেছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ও ম্যাচে হাজির ছিলেন প্রাক্তন ডাচ তারকা রুড গুলিট। স্টেডিয়াম দেখে ১৯৮৮ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক উচ্ছ্বসিত। তিনি রসিকতা করে বলেন,‘ আমার তো মাঠে নেমে পড়তে ইচ্ছা করছিল।’ বিশ্বকাপের জন্য কাতারের সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখে সন্তুষ্ট তিনি।
খলিফা স্টেডিয়ামের মতোই এই ওয়াক্রা স্টেডিয়ামের তাপমাত্রা ম্যাচ চলাকালীন থাকবে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২২ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে হবে প্রতিযোগিতা। তখন বাইরের তাপমাত্রা ৩৭-৩৮ ডিগ্রি থাকবে বলে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন। দোহা থেকে ১৫ কিমি দক্ষিণে স্টেডিয়ামটি হচ্ছে। তাই স্টেডিয়ামটির নামকরণ হচ্ছে ‘আল জানুব স্টেডিয়াম’, যার অর্থ ‘স্টেডিয়াম অফ দ্য সাউথ’ বা দক্ষিণের স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামের ছাদ তৈরি হয়েছে ইতালি থেকে আনা কাঠে। এই কাঠ দিয়েই ইতালিতে মাছ ধরার নৌকা তৈরি হয়। বৃহস্পতিবার আমির কাপের ফাইনালে এই স্টেডিয়ামেই প্রথম ম্যাচটি খেলে আল সাদ ও আল ডুহাল। সমুদ্রর তীরে চমৎকার মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠেছে স্টেডিয়ামটি। সমুদ্র তীরের ব্যাপারটি ফুটে উঠেছে স্টেডিয়ামের গঠন শৈলীতেও। ম্যাচ শুরুর আগেই স্টেডিয়ামের দর্শক আসন প্রায় ভরতি হয়ে গিয়েছিল। কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল স্টেডিয়াম চত্বরে। তবে স্টেডিয়াম ঘিরে প্রায় এক কিমি স্থানে ছড়িয়ে পড়ে ট্র্যাফিক জ্যাম। উদ্বোধনী ম্যাচের আগে বৃহস্পতিবার রাতে একটি ‘শো’ হয় স্টেডিয়ামে। দর্শকরা ছিলেন উৎসবের মুডে।