বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্টিম্যাকের বড় সাফল্য, ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে তাঁর প্রশিক্ষণে ক্রোয়েশিয়ার যোগ্যতা অর্জন। তাঁর সময়কালে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে অভিষেক হয় কোভাসিচ, রেবিচ, অ্যালেন হালিলোভিচ, ইভান পেরিসিচের মতো ফুটবলারদের। ক্রোয়েশিয়া জাতীয় দলের হয়ে এই সেন্টার ব্যাক ৫৩টি ম্যাচ খেলেছেন। তাঁর অধীনে নিজেদের উন্নত করেছেন ডারিও সারনা, ড্যানিয়েল সুবাসিচ, ইভান স্টারিনিচ, কোভাসিচের মতো প্লেয়াররা। ভারতে আসার আগে স্টিম্যাক শেষ কোচিং করিয়েছেন কাতারের আল-শাহানিয়া ক্লাবে। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৯৬ উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেলেছেন তিনি। এর পাশাপাশি অনূর্ধ্ব ১৯ যুগোস্লাভিয়া জাতীয় দলের সদস্য হিসেবে তিনি ১৯৮৭ সালে ফিফা অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপ জেতেন।
স্টিম্যাককে ভারতের কোচ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট প্রফুল প্যাটেল। তিনি বলেন, ‘ব্লু টাইগার্সদের জন্য আদর্শ কোচ ইগর স্টিম্যাক। আমি তাঁকে স্বাগত জানাই। ভারতীয় ফুটবল এক সন্ধিক্ষণের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসী, ইগরের বিশাল অভিজ্ঞতা ভারতীয় ফুটবলকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস বলেন, ‘ইগর স্টিম্যাকের দ্বারা ভারতীয় ফুটবল দারুণ উপকৃত হবে। প্লেয়ার ও কোচ হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা ভারতের প্লেয়ারদের কাছে সম্পদ হবে।’
বুধবার ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে টেকনিক্যাল কমিটি স্টিম্যাকের নাম সুপারিশ করে। এই প্রসঙ্গে টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান শ্যাম থাপা বলেন, ‘মিঃ স্টিম্যাকের নাম কোচ হিসেবে সুপারিশ সর্বসম্মতিক্রমে করা হয়েছে। ওঁনার যোগ্যতা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। টেকনিক্যাল কমিটির সব সদস্য তো বটেই, এআইএফএফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর আইজ্যাক ডোরু দারুণ খুশি হয়েছেন স্টিম্যাকের অভিজ্ঞতা ও প্রোফাইল দেখে।
এমনিতেই স্টিম্যাক বিশ্বকাপার, তারপর ক্রোয়েশিয়ার কোচ ছিলেন বিশ্বকাপে। তাঁর থেকে ভারতের কোচের সিটে বসার জন্য আর কে যোগ্য হতে পারে?
সবচেয়ে বড় কথা, স্টিম্যাক ভারতীয় ফুটবল নিয়ে যেভাবে গবেষণা করেছে, তা সবাইকে খুশি করতে বাধ্য।’ ভারতের কোচ হিসেবে ইগর স্টিম্যাকের অভিষেক হচ্ছে কিংস কাপে। তাইল্যান্ডের বুরিরামে সুনীল ছেত্রীরা ৫ জুন প্রথম ম্যাচ খেলবেন কুরাকাওয়ের বিরুদ্ধে।