লন্ডন, ১৪ মে: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হলেও আগামী মরশুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হল ম্যাঞ্চেস্টার সিটির। রবিবার ব্রাইটনকে ৪-১ গোলে হারিয়ে লিভারপুলকে পিছনে ফেলে খেতাব জেতে পেপ গুয়ার্দিওলার দল। কিন্তু আর্থিক লেনদেনে অসঙ্গতি থাকায় উয়েফার নির্বাসনদণ্ডের মুখে পড়তে পারে ম্যান সিটি। সোমবার নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইনভেস্টমেন্ট ও স্পনসরশিপের আর্থিক আদানপ্রদানের চুক্তিতে বিস্তর গরমিল রয়েছে সংশ্লিষ্ট ক্লাবটির। সপ্তাহ দুয়েক আগে সুইজারল্যান্ডে বিশেষ আলোচনায় বসেছিলেন উয়েফা তদন্তকারী অফিসাররা। তাঁরা এই প্রসঙ্গে বিশদে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। বেলজিয়ামের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা মুখ্য তদন্তকারী অফিসার ইভস লেটার্মে জানিয়েছেন, ‘আমরা প্রমাণের অপেক্ষায় রয়েছি। তারপরেই যা বলার বলব। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সবকিছু জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে।’ উল্লেখ্য, আর্থিক লেনদেনে অসঙ্গতির প্রমাণ মিললে এক বছর নির্বাসনদণ্ড হতে পারে ম্যান সিটির। সেক্ষেত্রে ২০১৯-২০ মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আর তা হলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে পঞ্চম স্থানাধিকারী আর্সেনালের সামনে খুলে যেতে পারে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দরজা। এদিন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘ক্লাব ফিনান্সিয়াল কন্ট্রোল বডি ইনভেস্টরি চেম্বারের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও আইনই আমরা লঙ্ঘন করিনি। নির্দিষ্ট সময়ে যথাযথভাবেই আর্থিক রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। সুতরাং, আমাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’
এর আগে আর্থিক অসঙ্গতির থাকার কারণে উয়েফা কোনও ক্লাবকে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে নির্বাসিত করেনি। অপরাধ প্রমাণিত হলে ২০১৯-২০ না ২০২০-২১ মরশুমে নির্বাসনদণ্ড লাঘু হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। শাস্তি ঘোষিত হলে তার বিরুদ্ধে কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট’এর কাছে আবেদন করতে পারে ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামের ক্লাবটি। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে নিয়ম লঙ্ঘন করায় ৬০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা দিতে হয়েছিল ম্যান সিটিকে।