বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ম্যাচের সেরা হয়েছেন বুমরাহ। তিনি বলেছেন,‘আমি প্রতিটি ডেলিভারিকে পৃথক আঙ্গিকে দেখেছি। তাই এই সাফল্য। আমাদের হাতে দারুণ কিছু রান না থাকলেও আমরা আতঙ্কে ভুগিনি। নিজের মনকে শান্ত রাখতে পেরেছিলাম। কোনও রকম বাড়তি উত্তেজনা ছিল না আমার মধ্যে। গোটা টুর্নামেন্টেই আমি বাড়তি চাপ নিইনি। বুমরাহ প্রতিযোগিতার ১৯টি ম্যাচে ১৬টি উইকেট নিয়েছেন। গড় ৬.৬৩। যা কোনও বোলারের কাছে ঈর্ষনীয়।
বুমরাহর পাশাপাশি তরুণ লেগ স্পিনার রাহুল চাহারের প্রশংসা করেছেন শচীন। ফাইনালে ১৩টি ডট বল করে রাহুল চাহার ক্রিকেটবোদ্ধাদের চমকে দেন। ফাইনালে চার ওভারে ১৪ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। শচীন বলেন, ‘আইপিএল শুরুর আগে আমি ওর কথা বিশেষভাবে স্টার স্পোর্টসের একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলাম। রাহুল চাহারের প্রতিভা নিয়ে কোনও সংশয় নেই আমার। ইরানী ট্রফিতেই আমার চোখে পড়েছিল ছেলেটি। নাগপুরের জামথায় অবশিষ্ট ভারতীয় দলের হয়ে ৮১ ওভার বল করেছিল অক্লান্তভাবে। এবারের আইপিএলে ১৩ ম্যাচে ১৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। গড় ৬.৫৫। প্রমাণ হয়ে গেল পাঁচ দিনের ক্রিকেটের পাশাপাশি সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও রাহুল চাহার দারুণ কার্যকরী।’
মুম্বই দলের সঙ্গে যুক্ত মাহেলা জয়বর্ধনে বলেছেন, ‘১৩টি ডট বল করে চেন্নাইয়ের রানের গতি কমিয়ে তিনি মুম্বই ইনিংসের মাঝামাঝি আমাদের দলের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনেন। ও ২০১৮ সালেও মুম্বই দলে ছিল। তখন রাহুল চাহারকে মনে হয়েছিল প্রচণ্ড প্রতিভাবান। তবে কিছুটা ঘষামাজা প্রয়োজন ছিল। সেটা যত্ন নিয়ে করা হয়েছে। দল তার সুফল ফাইনালে পেয়েছে।’
এদিকে, ফাইনালের আগেই চাহার পরিবারে আগাম উৎসব শুরু হয়ে যায়। কারণ ভাই দীপক চাহারও সিএসকে’র হয়ে ফাইনালে দারুণ বোলিং করেন।