বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
শেন ওয়াটসনের (৮০) দুরন্ত লড়াইয়েও শেষ বলে স্বপ্নভঙ্গ ঘটে ধোনি ব্রিগেডের। অথচ ১৫০ রান খুব একটা কঠিন টার্গেট ছিল না চেন্নাইয়ের কাছে। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটাও ভালোই হয়েছিল তাদের। কিন্তু শেষরক্ষা হল না মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায়। ম্যাচ শেষে হতাশ ধোনি পরিষ্কার ভাবে সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গোটা মরশুমে আমরা যেভাবে খেলেছি, তাতে খুব একটা খুশি হওয়ার মতো কিছু নেই। ফাইনালে উঠলেও আমাদের ব্যাটিং নিয়ে সমস্যা ছিলই। প্রথম সারির ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত রান পায়নি। তবু প্রতিদিন কেউ না কেউ রান করে দিচ্ছিল বলেই জয় পাচ্ছিলাম। ফাইনালেও উঠতে পেরেছি। নাহলে সেটাও সম্ভব হত না। কিন্তু ফাইনালে মিডল-অর্ডার চূড়ান্ত ব্যর্থ হওয়ায় অল্পের জন্য ফস্কে গিয়েছে খেতাব।’
ধোনি আরও বলেন, ‘ফাইনালে দারুণ উপভোগ্য লড়াই হয়েছে। আর সে করাণেই ম্যাচ একেবারে শেষ বল পর্যন্ত গড়ায়। এর থেকে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা আর কি হতে পারত! ম্যাচে দুই দলই বেশ কয়েকটি ভুল করেছে। তবে আমাদের চেয়ে একটা ভুল করার সুবাদে জয় হাসিল করেছে মুম্বই। এখন আমাদের এবার ড্রয়িং রুমে ফিরে গিয়ে পর্যালোচনা করতে হবে, কিভাবে ফাইনালে পৌঁছালাম, আর কেনই বা খেতাবি লড়াইয়ে হেরে গেলাম আমরা। পাশাপাশি ভেবে দেখতে হবে, কোন জায়গাগুলিতে আরও উন্নতি করা সম্ভব।’ তাহলে কি আপনি এখন থেকেই আগামী মরশুমের পরিকল্পনা শুরু করে দিতে চান? এমন প্রশ্নের উত্তরে ধোনি বলেন, ‘এখনও এ নিয়ে বলার সময় আসেনি। সামনেই বিশ্বকাপ। এখন সেটা নিয়েই ভাবতে চাই। আইপিএল নিয়ে আবার আগামী বছর ভাবা যাবে।’
মুম্বইয়ের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপকে দেড়শো রানের মধ্যে আটকে রাখার জন্য বোলারদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সিএসকে অধিনায়ক। ধোনির কথায়, ‘এই উইকেট মোটেই দেড়শোর রানের ছিল না। তার চেয়ে অনেক বেশি রান ওঠার কথা। কিন্তু আমাদের বোলাররা প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স করেছে। ওদের ১৫০ রানে আটকে দিয়েছে। রান বাঁচানোর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যবধানে উইকেটও নিয়েছে ওরা। কিন্তু বোলারদের গড়ে দেওয়া ভিতটা কাজে লাগাতে পারেনি আমাদের ব্যাটসম্যানরা। মাত্র এক রানে হারের আক্ষেপটা সহজে ভোলার নয়।’ নিজের বিতর্কিত রান-আউট নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি ধোনি।