বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এই নিয়ে চতুর্থবার আইপিএল খেতাব জিতল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ২০১৩, ২০১৫, ২০১৭ সালের পর ২০১৯। নিজেদের সাফল্যের রসায়ন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রহিত শর্মা বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্টে আমরা ভীষণই ভালো ক্রিকেট খেলেছি। আর সেই কারণেই লিগ টেবলের শীর্ষে থেকে প্লে-অফের জন্য কোয়ালিফাই করেছি। আর এখন খেতাব জিতে হাসি মুখে শেষ করেছি টুর্নামেন্ট।’ সেই সঙ্গে তিনি জানান, ‘আমরা গোটা টুর্নামেন্টকে দুটি ভাগে ভাগ করে নিয়েছিলাম। সেই ভাবে ধাপে ধাপে লক্ষ্যের পথে এগিয়ে গিয়েছি।’
নিজের দলের বোলারদের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে রহিত বলেন, ‘আজ আমাদের বোলিং ভীষণই ভালো হয়েছে। খেলার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলিতে বোলাররা আমাদের উইকেট এনে দিয়েছে, ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছে। আমাদের সব বোলারই নিজেদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করেছে। ওদের কৃতিত্বকে আমি সবার উপরে রাখতে চাই।’ লাসিথ মালিঙ্গাকে শেষ ওভার দেওয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে মুম্বই অধিনায়ক বলেন, ‘মালিঙ্গা একজন চ্যাম্পিয়ন বোলার। শেষ ওভারের জন্য আমি হার্দিক পান্ডিয়ার কথাও ভাবছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মালিঙ্গাকেই বেছে নিয়েছিলাম ওর অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে। আস্থার পূর্ণ মর্যাদা রেখেছে মালিঙ্গা। শেষ বলে শার্দূলকে যে দুরন্ত স্লোয়ারে সে আউট করেছে, তা এক কথায় অনবদ্য।’ নিজের নেতৃত্ব নিয়ে রহিত বলেন, ‘আমি প্রত্যেক ম্যাচেই অধিনায়কত্বের নতুন নতুন বিষয় শিখে চলেছি। দায়িত্বটা আমি দারুণ উপভোগও করি। তবে অধিনায়ক হিসেবে আমার সাফল্যের যাবতীয় কৃতিত্ব আমি খেলোয়াড়দেরই দেব। কারণ খেলোয়াড়দের ভালো পারফরম্যান্স ছাড়া অধিনায়কের কোনও গুরুত্ব নেই।’
গোটা টুর্নামেন্টে দারুণ বোলিং করে যাওয়া জসপ্রীত বুমরাহ মুম্বইয়ের হয়ে সর্বাধিক ১৯টি উইকেট দখল করেন। ফাইনালে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে চেন্নাইকে হারের মুখে ঠেলে দেন তিনি। তাঁর হাতেই উঠেছে ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার। বুমরাহর প্রশংসায় রহিত বলেন, ‘ও এমনভাবেই খেলে যাতে তার দারুণ ছন্দ অব্যাহত থাকে। টুর্নামেন্টের শুরুতে আমরা আলোচনা করছিলাম যে, প্রয়োজন মনে করলে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা পরিষ্কার ছিলাম। আর সে জন্য আমাদের ফিজিও এবং ট্রেনাররা ওকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রেখেছে। ফিটনেস বজায় বুমরাহ ধারাবাহিক ভাবে যে পারফরম্যান্স করেছে, তা প্রশংসনীয়।’ পাশাপাশি হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়েও নিজের উচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছেন রহিত। ব্যাট হাতে ৪০২ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ১৪টি উইকেট পাওয়া হার্দিককে নিয়ে মুম্বইয়ের অধিনায়ক বলেন, ‘কেউ ফর্মে না থাকলে আইপিএলই তার ছন্দে ফেরার আসল জায়গা। হার্দিক তার প্রকৃষ্ট উদাহারণ। আইপিএলের আগে তার সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। কিন্তু আইপিএলে সে দুর্দান্তভাবে বল ও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছে।’ রহিত আরও বলেন, বিশ্বকাপের আগে নিজেকে বিচার করার জন্য আইপিএলের চেয়ে ভালো মঞ্চ আর হতে পারে না।