কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তিন জনের প্রেজেন্টেশন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ফেডারেশনের সচিবের কাছে। নতুন টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের জন্য ফেডারেশনের বরাদ্দ মাসে ১৫ হাজার ডলার। স্টিভন কনস্ট্যানটাইন পেতেন মাসে ২২ হাজার ডলার। নতুন কোচেরও বেতন বাড়ছে। তিনি পাবেন মাসে ২৫ হাজার ডলার। ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির সভায় এনিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। যে তিনজন কোচ এদিন ইন্টারভিউ দিয়েছেন তাঁরা হলেন রোমানিয়ার ডোরু আইজ্যাক, পর্তুগালের জর্জ ক্যাস্টেলো এবং জর্জিয়ার গিয়াজ ডারসাদে। টেকনিক্যাল কমিটির সভায় ছিলেন প্রশান্ত ব্যানার্জি, হেনরি মেনজিস, প্রদীপ দত্ত, ইসফাক আমেদ। সভায় কুশল দাস, সুনন্দ ধরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আইএমজিআরের তরফে সুন্দর রাজন। ইদানীং ফেডারেশনের যে কোনও সভায় সুন্দর রাজনকে দেখা যাচ্ছে। এই ব্যাপারটি নিয়ে আই লিগের ক্লাবগুলি অনেকদিন থেকেই সোচ্চার।
টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান শ্যাম থাপা জানান,‘এই তিনজনের আর্থিক দাবি-দাওয়া নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন ফেডারেশন সচিব। তিনজনের সঙ্গেই আমাদের সৌহায্যপূর্ণ পরিবেশে কথাবার্তা হয়েছে।’
তিনজনের মধ্যে অন্যতম হাই প্রোফাইল কোচ হলেন রোমানিয়ার ডোরু আইজ্যাক। তিনি এক সময়ে আর্সেন ওয়েঙ্গারের সঙ্গেও কাজ করেছেন। তবে ভিসা সমস্যার জন্য তিনি সময়মতো ফুটবল হাউসে পৌঁছাতে পারেননি। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দর থেকে তিনি স্কাইপে ইন্টারভিউ দেন। তাঁর ‘ভিসা অন অ্যারাইভাল’ নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল দিল্লি বিমানবন্দরে। আইজ্যাক জাপানের ইয়োকোহামা এফসি’র স্পোর্টিং ডিরেক্টর। জর্জিয়ার জুনিয়র ও সিনিয়র দলের প্রাক্তন কোচ ডারসাদেও স্কাইপে ইন্টারভিউ দেন। পর্তুগালের জর্জ ক্যাস্টেলো নিজের দেশের বেনফিকা, স্পোর্টিং সিপি’র প্রাক্তন কোচ। পর্তুগালে তিনি কার্লোস কুইরোজের সহকারী হিসাবেও কাজ করেছেন। স্বেন গোরান এরিকসনের সঙ্গেও তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা আছে। ২০১৬ সালে তিনি চীনের শ্যান ডংয়ে মানো মেনজিসের সহকারী ছিলেন। তিন জনের মধ্যে তাঁর বায়োডাটা সবথেকে ভালো। তবে তাঁর আর্থিক চাহিদাও বেশি অন্যদের তুলনায়। তিনিও স্কাইপে ইন্টারভিউ দেন পর্তুগাল থেকে। টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের কাজ জুনিয়র পর্যায়ে। আই লিগে অ্যারোজ দলের দায়িত্বেও থাকবেন তিনি। সিনিয়র দলের কোচের পদে জমা পড়া বায়োডাটার মধ্যে চল্লিশ জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে বাছা হয়েছে। এদের মধ্যে চার- পাঁচজনকে বেছে নিয়ে ইন্টারভিউ করা হবে। ১৫ মে ’র মধ্যে নতুন জাতীয় কোচের নামও ঘোষণা করা হবে।
এই মুহূর্তে ভারতে প্রায় ২৩০ জন লাইসেন্সধারী কোচ আছেন। দেশের কোচদের আরও শিক্ষিত করতে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন সোমবার এএফসি’র সঙ্গে একটি চুক্তি করল। স্যাভিও বলেন,‘লাইসেন্সধারী কোচদের আরও শিক্ষিত করতে এই উদ্যোগ।’