নয়াদিল্লি, ২২ এপ্রিল: বিসিসিআই অনুমোদিত ক্রিকেট সংস্থার মধ্যে লোধা কমিটির সুপারিশ মেনে নিয়েছিল দিল্লি জেলা ক্রিকেট সংস্থা। লোধা কমিটির সুপারিশ মেনে ১৬ জনের বোর্ড অফ ডিরেক্টর্স গঠন করা হয়েছিল। এই ডিরেক্টরদের কাজ আগে বিভিন্ন ক্রিকেট সংস্থায় থাকা ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের মতো। এদের মাথার উপরে সংস্থার প্রেসিডেন্ট হিসাবে আছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক রজত শর্মা। এদের সঙ্গে দিল্লির ক্রিকেট চালাতে রয়েছে অ্যাপেক্স কাউন্সিল। এই অ্যাপেক্স কাউন্সিলের প্রধান হলেন চিফ অপারেশন অফিসার বা সিওও। গত বছরের ২ জুলাই থেকে এই পদে আছেন জি আর সাক্সেনা। কিন্তু বোর্ডের প্রশাসনিক প্রধান বিনীত রাই তাঁকে রবখাস্ত করেছেন সম্প্রতি। আসলে জি আর সাক্সেনার সঙ্গে রজত শর্মার তালমিল হচ্ছিল না। রজত শর্মা বোর্ডে প্রভাব খাটিয়ে সাক্সেনাকে তাড়িয়েছেন। আর সেই জন্যই দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার ১৬ জন ডিরেক্টরের মধ্যে আটজন একসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছেন রবিবার নিজেদের মধ্যে এক সভা ডেকে। দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা অনেকদিন ধরেই নিয়ন্ত্রণ করেন অরুণ জেটলি।
২০১৪ সালে অরুণ জেটলি দেশের অর্থমন্ত্রী হওয়ার পর এখনও রিমোটে সংস্থাটি চালান। বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজত শর্মাও অরুণ জেটলির ঘনিষ্ঠ। দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর পদে আছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া গৌতম গম্ভীরও। তবে আটজন বিদ্রোহী ডিরেক্টরের মধ্যে গৌতম গম্ভীর নেই। লোকসভা নির্বাচনের আগে দিল্লি ক্রিকেট সংস্থায় এই ‘বিদ্রোহ’ এখন রাজধানীতে চর্চার বিষয়। দিল্লির প্রাক্তন ক্রিকেট কর্তা চেতন চৌহানও এই নিয়ে সোচ্চার। আর একজন ডিরেক্টর রজত শর্মার বিরুদ্ধে আনাস্থা আনলে তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দিতে হবে। অন্যতম বিদ্রোহী ডিরেক্টর বিনোদ থিয়ারা জানিয়েছেন,‘ দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা নিয়ে অদূর ভবিয্যতে মামলা হবে সুপ্রিম কোর্টে।’