কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আর কোহলি বাকি ৫০ রান তোলেন মাত্র ১৭ বলে। তাতেই প্রমাণ হচ্ছে, নাইটদের সাজান বাগান কীভাবে তছনছ বিরাটের ব্যাটিং তাণ্ডবে। শেষ পাঁচ ওভারে কেকেআর দিয়েছে ৯১ রান।
কোহলির এই বিধ্বংসী ইনিংসের মঞ্চটা অবশ্য সাজিয়ে দিয়েছিলেন মঈন আলি। ২৮ বলে তিনি করেন ৬৬ রান। পাঁচটি চার, ছ’টি ছক্কায় সাজানো ছিল মঈনের দুরন্ত ইনিংস। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ২৩৫.৭১। ষষ্ঠদশ ওভারে মঈন আলি প্রা কাঁদিয়ে ছাড়েন কেকেআরের ৫.৮ কোটি টাকার চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদবকে। তিনটি ছক্কা ও দু’টি চার হাঁকান আরসিবি’র ইংলিশ অলরাউন্ডারটি। কুলদীপ ওই ওভারে দেন ২৭ রান। অন্তিম বলে ফের ওভার বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে মঈন আউট হতেই ব্যাটন তুলে নিজের হাতে তুলে নেন কোহলি। মূলত এই দুই ব্যাটসম্যানের কাঁধে চড়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ৪ উইকেটে ২১৩ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কুলদীপ যাদব যখন গত আটটি ম্যাচে কিছু করতে পারেননি, তাহলে তাঁকে জোর করে খেলিয়ে যাওয়ার কারণ কি? কোহলিকে সেঞ্চুরিও ‘উপহার’ দেন তিনি। দীনেশ কার্তিকের নেতৃত্বগুণ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বার বার। কেনই বা পীযূষ চাওলাকে দিয়ে মাত্র এক ওভার বল করানো হবে? দলের সেরা বোলার কুলদীপ যদি ৪ ওভারে ৫৯ রান দেন, তাহলে বোলাদের মনোবল তলানিতে ঠেকবে, সেটাই তো স্বাভাবিক!
হতে পারে জনপ্রিয়তায় বিরাট কোহলির চেয়ে এখনও অনেকটাই এগিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি। ১৪ এপ্রিল চেন্নাই সুপার কিংস বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচ ঘিরে গ্যালারিতে দেখা গিয়েছিল ‘বঙ্গভঙ্গ’। ধোনিকে ঘিরে সেদিন দর্শকদের মধ্যে দারুণ উন্মাদনা চোখে পড়েছিল। কিন্তু শুক্রবার রাতে ক্যাপ্টেন কোহলিকে ঘিরে শুরুতে তেমন মাতামাতি চোখে পড়েনি। উপচে পড়া গ্যালারির সিংহভাগই ছিল নাইটদের পক্ষে। তবে পঞ্চদশ ওভারের পর বদলে যায় ছবিটা। ৪০ বলে আরসিবি অধিনায়ক হাফ-সেঞ্চুরি করার পরেই কোহলি…কোহলি… শব্দব্রহ্ম তৈরি হয় গ্যালারিতে।
যদিও বিরাট শুরুতে ছিলেন বেশ নড়বড়ে। প্রথম বলেই তিনি স্লিপে ক্যাচ তুলে অল্পের জন্য বেঁচে যান। পরের ওভারে সুনীল নারিনের দ্বিতীয় বলে কোহলির বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের জোরালো আবেদন ওঠে। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউ নেন কেকেআর ক্যাপ্টেন দীনেশ কার্তিক। তবে সেটা কাজে লাগেনি। বিরাট ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। আন্দ্রে রাসেলের সঙ্গে কোহলির ডুয়েল দারুণ জমে উঠেছিল। কিং কোহলিকে বাউন্সারে পরাস্ত করার কৌশল নিয়ে ব্যর্থ হন কেকেআরের ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারটি। বিরাট হুক করে বল সোজা পাঠিয়ে দেন গ্যালারিতে।
এবি ডি’ভিলিয়ার্স না থাকায় কোহলি পুরো দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। ওপেনার পার্থিব প্যাটলে তুলে মারতে গিয়ে ১১ রানে সুনীল নারিনের বলে নীতীশ রানার হাতে ধরা পড়েন। তিন নম্বরে নেমে আকাশদীপ নাথ ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। সুনীল নারিন (৩২/১) ও আন্দ্রে রাসেল (১৭/১) ছাড়া কেকেআরের আর কোনও বোলার মাথা তোলার সুযোগ পাননি।
আইপিএলে এটি কোহলির পঞ্চম সেঞ্চুরি। কোহলি ৫৮ বলে ১০০ রান করে আউট হন। পুরো ইনিংস ব্যাট করে ইডেনের দর্শকদের দারুণ আনন্দ দিয়েছেন ভিকে। দেখে বোঝার উপায় ছিল না, তাঁর নেতৃত্বে আরসিবি আটটি ম্যাচের মধ্যে সাতটিতে হেরেছে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে কেকেআর এই প্রতিবেদন লেখা অবধি ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩৭ রান। ক্রিস লিন (১), সুনীল নারিন (১৮) ও শুভমান গিল (৯) আউট হয়েছেন।