কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সোমবার মোহন বাগানের বারপুজোয় অতিথি ও সমর্থকদের সামলাতে দেখা গেল অর্থ সচিব ও সহ সচিবকে। ছিলেন গ্রাউন্ড সচিবসহ কর্মসমিতির অন্য সদস্যরাও। বারপুজোয় উপস্থিত মোহন বাগান সমর্থকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল, সুপার কাপে না খেলার জন্য কতটা কড়া শাস্তি পেতে পারে ক্লাব। এই ব্যাপারে কর্তারা মামলার পথও খোলা রাখছেন। মোহন বাগান শীর্ষ কর্তাদের দাবি, ১৬ দল নিয়ে করতে হবে যৌথ লিগ। কিন্তু এফএসডিএল কোনও মতেই চায় না যৌথ লিগ। বিড পেপার বের হওয়ারও কোনও লক্ষণ নেই। এদিন বারপুজোয় সনি নর্ডির অনুপস্থিতি প্রমাণ করল ক্লাবের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছে। সনি সম্পর্কে মোহভঙ্গ হয়েছে ক্লাবকর্তাদেরও।
ময়দানের হাওড়া ইউনিয়ন, এরিয়ান, খিদিরপুর তাঁবুতেও বারপুজো হয়। এই সব ক্লাবে বর্তমান ও অতীতের খেলোয়াড়রাও উপস্থিত ছিলেন। দুই সপ্তাহ আগে উয়াড়ি তাঁবু সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছিল। গ্রাউন্ড স্টাফ রবির তৎপরতায় সেই অভিশপ্ত রাতে অপর তিন গ্রাউন্ড স্টাফের জীবন বাঁচে। দ্রুততার সঙ্গে রবি সেদিন তাঁবুর মেন সুইচ অফ করেছিলেন। সেই রবিকে সামনে রেখেই উয়াড়ি ক্লাবের তাঁবুতে বারপুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। ক্লাবের বিপদের দিনে অনেক প্রাক্তন খেলোয়াড় এসে উয়াড়ি ক্লাব কর্তাদের পাশে এসে দাঁড়ান। আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, সিএবি’র দুই প্রাক্তন কর্তা বিশ্বরূপ দে ও বাবলু গাঙ্গুলির সঙ্গে উয়াড়িতে দেখা গেল সিএবি’র যুগ্ম সচিব অভিষেক ডালমিয়াকেও। বিশ্বরূপকে সব ক্লাবেই দেখা গেল। ইউনাইটেড এফ সি প্রতিবছরের মতো এয়ারলাইন্স তাঁবুতে বারপুজোর আয়োজন করেছিল। প্রিমিয়ার লিগের নতুন ক্লাব বিএসএসের অধীনে থাকা এয়ারলাইন্স তাঁবু ময়দানের মিলনমেলায় পরিণত হয়। বিকেল পর্যন্ত ভিড় ছিল সেখানে। উপস্থিত ছিলেন বেলো রজ্জাক ও লালকমল ভৌমিকের মতো পরিচিত খেলোয়াড়রাও। তবে ওই ফুটবল আড্ডায় বারবার ফুটে আসছিল আক্ষেপ। আসলে দুই প্রধান কতটা শাস্তি পাবে, কোথায় খেলবে তা নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই।