গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিতর্ক উঠেছে ঋষভ পন্থ ও অম্বাতি রায়াড়ুর বাদ পড়া নিয়ে। ঋষভ বাদ পড়ায় ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকরও বিস্মিত। সানি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘গত এক বছর সুযোগ পেয়ে ঋষভ ব্যাটিংয়ে দারুণ উন্নতি করেছে। এছাড়া আইপিএলে লক্ষ্য করলাম, ওর উইকেট কিপিংও বেশ ভালো হচ্ছে। তাই ঋষভ বাদ পড়ায় আমি যথেষ্ট অবাক হয়েছি। অন্তত ভবিষ্যতের কথা ভেবে ওকে স্কোয়াডে রাখা যেত। এছাড়া ঋষভ হল বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। লেফট-রাইট কম্বিনেশন ক্রিজে থাকলে বিপক্ষ দলকে ঘন ঘন ফিল্ড প্লেসিং বদল করতে হয়। প্রথম ছ’জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে অন্তত দু’জন বাঁ-হাতি থাকা বাঞ্ছনীয়। এছাড়া ধোনির শ্যাডো হিসাবে ওকে পরবর্তী উইকেটরক্ষক হিসাবে গ্রুম করা উচিত ছিল নির্বাচকদের।’
কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক এবার আইপিএলে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলতে প্রায় ব্যর্থ। তা সত্ত্বেও তাঁকে কেন ‘ফিনিশার’ হিসাবে দলে ঢোকানো হল? সেই কবে এশিয়া কাপ ফাইনালে একটা ম্যাচে ভালো খেলেছিল বলে তার ডিভিডেন্ড কি বিশ্বকাপেও পেল কার্তিক? তবে গাভাসকার প্রশংসা করেছেন তামিলনাড়ুর অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্করের। তিনি বলেছেন, ‘গত এক বছরে বিজয় শঙ্করের উন্নতি দেখে আমি মুগ্ধ। ও চার নম্বরেও ব্যাট করতে পারবে। ক্লিন হিটার বিজয় একজন দক্ষ ফিল্ডার। এছাড়া ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় ওর স্যুইং বোলিং বেশ কার্যকরী হবে।’
দলে কোনও স্পেশালিস্ট চতুর্থ পেসার রাখা হয়নি। সামি ও বুমরাহ বোলিং ওপেন করবেন। ওয়ান চেঞ্জ পেসার হিসাবে থাকছেন ভুবি। কুলদীপ যাদব ও যজুবেন্দ্র চাহালের মধ্যে যে কোনও একজন প্রথম একাদশে থাকবেন। জুলাইয়ে গ্রীষ্মের দ্বিতীয় ভাগে ইংল্যান্ডের উইকেটের চরিত্র বদল হয়। তাই রবীন্দ্র জাদেজাকে স্কোয়াডে রাখা হয়েছে। নির্বাচক মণ্ডলীর প্রধান এমএসকে প্রসাদ সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে ঋষভ পন্থের বাদ পড়া নিয়ে একঝাঁক প্রশ্নের সম্মুখীন হন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ঋষভকে নিয়ে নির্বাচনী বৈঠকে অনেকক্ষণ আলোচনা করেছি। শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতার কথা ভেবে আমরা দীনেশ কার্তিককে স্কোয়াডে নিয়েছি। ঋষভের সামনে পড়ে রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। এছাড়া দ্বিতীয় উইকেটরক্ষকের প্রয়োজন তখনই হতে পারে যদি এমএস ধোনি আহত বা অসুস্থ হন। বিজয় শঙ্করকে রাখা হয়েছে মূলত চার নম্বর পজিশনে ব্যবহার করার জন্য। আর সেটাও দলের প্রয়োজনে। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর থেকেই আমাদের বিশ্বকাপে দল গঠনের ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছিল। ৪ নম্বরে অম্বাতি রায়াড়ুর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ওর বিরুদ্ধে গিয়েছে। এখন আমাদের হাতে অপশন রইল বিজয় শঙ্কর, কেদার যাদব ও লোকেশ রাহুল। ভুবি দলে রইল মূলত ব্যাকআপ পেসার হিসাবে। আমরা মিটিংয়ে আলোচনা করেছিলাম খলিল আহমেদ, নবদীপ সাইনিকে নিয়েও।’