পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আমস্টারডাম, ২৫ মার্চ: গত বছর অক্টোবরে নেশনস লিগে নেদারল্যান্ডসের কাছে তিন গোলে হেরেছিল জার্মানি। প্রায় পাঁচ মাস পরে সেই পরাজয়ের মধুর বদলা নিল জোয়াকিম লো’র দল। আমস্টারডামের জোহান ক্রুয়েফ এরিনায় আয়োজিত ইউরো কাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে জার্মানি জিতল ৩-২ ব্যবধানে। অন্তিম মুহূর্তে শ্যুলৎজের গোলে মূল্যবান তিন পয়েন্ট পাওয়ার পর কোচ জোয়াকিম লো’র কণ্ঠে তারুণ্যের জয়গান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তরুণ ফুটবলারদের উপর আস্থা রেখেছিলাম। তারই সুফল মিলল এদিন। ঘরের মাঠে প্রীতি ম্যাচে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করার পর সমর্থকরা দুয়ো দিয়েছিলেন। এখন নিশ্চয়ই তাঁরা আমাদের প্রশংসায় ব্যস্ত। জার্মানির অনুরাগীদের পাশে পেলে এই দল আরও আকর্ষণীয় ফুটবল খেলবে।’
প্রথমার্ধে দু’গোলে পিছিয়ে পড়েও বিরতির পর ম্যাচে সমতা ফিরিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। কিন্তু অন্তিম পর্বে রক্ষণ সংগঠন মজবুত রাখতে না পারাই তাদের কাল হল। কোচ রোনাল্ড কোম্যান এই হারের দায় নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘যে কোনও একজন অ্যাটাকিং প্লেয়ারেরর বদলে নাথান একে’কে নামানোর কথা মাথায় এসেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওকে আর ব্যবহার করিনি। এটা আমারই ভুল। তবে এটাও ঠিক, দ্বিতীয়ার্ধে প্রাধান্য রাখা সত্ত্বেও আমরা প্রয়োজনীয় সময়ে বলের দখল হারিয়েছি। তাই ঘরের মাঠে দু’গোলের ব্যবধান মুছে ফেলেও হারতে হল।’
২৩ বছর পর ঘরের মাঠে জার্মানির কাছে হারল নেদারল্যান্ডস। এই হারের জন্য ডাচ ফুটবলার রায়ান বাবেলকে দুষছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রথমার্ধে দু’বার একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে তিনি জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যুয়েরকে হার মানাতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তাই তাঁকে তুলে নিয়ে বার্গউইনকে নামানো হয়। প্রথম ৪৫ মিনিট আঞ্চলিক আধিপত্য ছিল জার্মানির। কোচ জোয়াকিম লো দল সাজিয়েছিলেন ৩-৩-১-৩ ফর্মেশনে। আপফ্রন্টে গোরেৎসকা, ন্যাবরি ও সানেকে রেখেছিলেন তিনি। এই তিনজনের পিছনে ব্যবহার করা হয় নিকো শ্যুলৎজকে। নেদারল্যান্ডসের কোচ রোনাল্ড কোম্যানের আস্থা ছিল ৪-৩-৩ ফর্মেশনে।
রাশিয়া বিশ্বকাপের দলে তাঁকে না রাখা কতটা ভুল হয়েছিল তা এই ম্যাচে আবার প্রমাণ করলেন লেরয় সানে। প্রথমার্ধে তাঁর উজ্জ্বল পারফরম্যান্স ডাচ রক্ষণে একাধিকবার ফাটল ধরায়। ১৪ মিনিটে শ্যুলৎজের পাস ধরে দলের প্রথম গোল তাঁরই (১-০)। এই পর্বে মাঝমাঠে ওয়ার্কলোড নেন টনি ক্রুজ-জোসুয়া কিমিচরা। ৩৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় জার্মানি। রুডিগারের পাস ধরে দুরন্ত ডজে ভিতরে ঢুকে ডান পায়ের ইনস্যুইংয়ে জাল কাঁপান ন্যাবরি (২-০)। তবে বিরতির পর ঘুরে দাঁড়ায় কোম্যান-ব্রিগেড। ৪৮ মিনিটে মেম্ফিস ডিপের সেন্টার থেকে ডি লিগটের হেড ব্যবধান কমায় (২-১)। এরপর একের পর এক ডাচ আক্রমণ সামলাতে হয় জার্মানি রক্ষণকে। ৬৩ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান ডিপে (২-২)। তাঁকে বল বাড়িয়েছিলেন ভিনালডাম। পরিস্থিতি বুঝে গুন্ডোগানকে নামাতে বাধ্য হন জোয়াকিম লো। শেষ পর্বে মার্কো রেউসকেও মাঠে নামান তিনি। ৯০ মিনিটে তাঁরই পাস থেকে জয়সূচক গোল শ্যুলৎজের (৩-২)। উল্লেখ্য, টমাস মুলার, জেরোমে বোয়েতাং ও ম্যাট হামেলসের মতো তিন অভিজ্ঞ ফুটবলারকে জার্মান স্কোয়াড থেকে বাদ দিয়েছিলেন কোচ জোয়াকিম লো। তিনজনেই ক্ষোভে অবসর নিয়েছেন।