কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রবিবাসরীয় ইডেনে সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে আন্দ্রে রাসেল ও শুভমান গিল প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন। চতুর্থ উইকেটে তাঁরা ৬৫ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপ গড়ে দু’বল বাকি থাকতেই জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেন। যদিও শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য কেকেআরের দরকার ছিল ৫৩ রান। নাইট সমর্থকরা প্রায় ধরেই নিয়েছিলেন, ম্যাচটা হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। পায়ের উপর পা তুলে শাহরুখ খান গ্যালারির এক কোণে বসেছিলেন গালে হাত দিয়ে। শ্যেন দৃষ্টি মাঠের দিকে। আপামর কেকেআর সমর্থকদের মতো তাঁর ভরসা বলতে তখন শুধু আন্দ্রে রাসেলই। অতীতে তিনি এরকম বহু ম্যাচে দলকে জিতিয়েছেন। এদিনও হতাশ করেননি সমর্থকদের। ১৮তম ওভারে ১৯ রান যোগ করেন রাসেল ও শুভমান। ১৯তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমার একাই দেন ২১ রান। আর শেষ ওভারে যখন দরকার ছিল ১৩ রান, তখন সাকিব-আল-হাসানের কিছু করারই ছিল না। কারণ, তখন রক্তের স্বাদ ততক্ষণে পেয়ে গিয়েছিলেন রাসেল ও শুভমান—দু’জনেই। সাকিবের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে দু’টি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ইডেনের কেকেআরের বিজয় পতাকা ওড়ান শুভমান।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেই মাঠে ঢুকে পড়েন শাহরুখ। তিনি জড়িয়ে ধরেন রাসেলকে। পাশে দাঁড়ানোর শুভমানের পিঠ চাপড়ে দিয়েই কিং খান শিশুর সারল্যে হেসে ওঠেন। কেকেআরের জয়ের নায়ক হয়তো আন্দ্রে রাসেল, তবে সুনীল নারিনের চোটের কারণে নীতীশ রানা ওপেন করতে নেমে অনবদ্য ব্যাটিং করে রাসেলদের জন্য মঞ্চ তৈরি করে দেন। ক্রিস লিন ৭ রানে আউট হওয়ার পর রবীন উথাপ্পাকে সঙ্গে নিয়ে ৮০ রান যোগ করেন নীতীশ। এই জুটি কেকেআরের জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিল। তার উপর দাঁড়িয়েই রাসেল-শুভমান জুটি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কফিনে শেষ পেরেক পোঁতেন।
ম্যাচ শেষ নীতীশ রানা সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বলেন, ‘ম্যাচটা শেষ করেই মাঠ ছাড়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ফোকাস নড়ে যায়। তবে উইকেট এতটাই ব্যাটিং সহায়ক ছিল যে দু’শোর টার্গেট থাকলেও আমরা জিততাম।’ আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটিং প্রসঙ্গে নীতীশ বলেন, ‘কীভাবে ব্যক্ত করবে বুঝতে পারছি না। তবে আমি জানতাম, ও ম্যাচটা জেতাতে পারবে। শুধু তো আজ নয়, অতীতেও ও এরকম ম্যাচ জিতিয়েছে। আমাদের পরিকল্পনাই ছিল, শেষ দিকে যত রানই থাকুক সেটা রাসেলের
জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে। সেই মতো আমি রশিদ খানকে অ্যাটাক করছিলাম। ও অপেক্ষা করছিল পেসারদের জন্য।’