সানরাইজার্স ১৮১/৩  নাইট রাইডার্স ১৮৩/৪ (১৯.৪ ওভার)
সুকান্ত বেরা : স্বপ্নভঙ্গের মঞ্চেই নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু নাইটদের। গতবছর ইডেনেই দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হেরে ছিটকে গিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। দ্বাদশ পর্বের আইপিএলে রবিবার আন্দ্রে রাসেলের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সুবাদে বদলার ম্যাচে সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে বাদশাহী জয় ছিনিয়ে নিল কেকেআর।
জয়ের জন্য ১৮২ রান তাড়া করতে নেমে নাইটরা শুরুতে একটু গুটিয়ে ছিল। তবে রবীন উথাপ্পা ও নীতীশ রানা জুটি বেঁধে কিছুটা লড়াই ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আচমকা পর পর উইকেট পড়ে যাওয়ায় ফের চাপে পড়ে যায় কেকেআরের। শেষ ৩০ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬৮ রান। নীতীশ রানা হাফ-সেঞ্চুরি করে উইকেটে সেট হয়ে গিয়েছিলেন। সবে ব্যাট করতে নেমেছিলেন রাসেল। ঠিক তখনই ইডেনের একটি বাতিস্তম্ভের আংশিক আলো নিভে যাওয়ায় প্রায় ১২ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। আলো বিভ্রাটের পর খেলা শুরু হতেই রশিদ খানের বলে নীতীশ রানা (৬৮) এলবিডব্লু হয়ে যান। তখনও চার ওভারে কেকেআরকে করতে হত ৫৯ রান। ১৭তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমার মাত্র ৬ রান দেওয়ায় আস্কিং রেট বেড়ে দাঁড়ায় ১৭.৬৬। ঠিক তখনই ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন রাসেল। ১৮তম ওভারে সিদ্ধার্থ কলের বলে দুটি ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি হাঁকান ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারটি। পরের ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারকেও তুলোধনা করেন রাসেল। দুটি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে কেকেআরের প্রাণভোমরা রাসেল ২১ রান যোগ করায় শাহরুখ খানের মুখে হাসি ফিরে আসে। অন্তিম ওভারে ৬ বলে দরকার ছিল ১৩ রান। রাসেলের গড়ে দেওয়া মঞ্চে দুটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন ফেলেন শুভমান গিল। চারটি বাউন্ডারি ও চারটি ওভার বাউন্ডারি সাহায্যে রাসেল ১৯ বলে ৪৯ রানে এবং শুভমান ১০ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ জিততে না পারলেও প্রত্যাবর্তন ম্যাচে ধুন্ধুমার ব্যাটিং করে দর্শকদের মন জয় করে নেন ডেভিড ওয়ার্নার। এক বছরের নির্বাসন কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়া দলে ফেরার আগে তিনি আইপিএলের মঞ্চকেই কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। সেই লক্ষ্যে অনেকটাই সফল ওয়ার্নার। ওপেনিং জুটিতে জনি বেয়ারস্টোকে নিয়ে ১১৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তিনি। তার উপর ভর করে সানরাইজার্স ৩ উইকেটে ১৮১ রান খাড়া করে। অবশ্য ২১ ও ৬৮ রানে ওয়ার্নারের সহজ ক্যাচ ফেলেন উথাপ্পা ও কার্তিক। শেষ পর্যন্ত ৯টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহয্যে ৫৩ বলে ৮৫ রানে আউট হন ওয়ার্নার। কেকেআরকে প্রথম সাফল্যটি এনে দেন পীযূষ চাওলা। তিনি জনি বেয়ারস্টোকে (৩৯) বোল্ড করেন। একটা সময় মনে হয়েছিল দু’শোর ঘরে পৌঁছে যাবে সানরাইজার্সের স্কোর। কিন্তু ইউসুফ পাঠান মন্থর ব্যাটিং করা তা হয়নি। তবে বিজয় শঙ্কর ২৪ বলে ৪০ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের স্কোর অনেকটাই টেনে নিয়ে যান।
 গ্যালারিতে শাহরুখ-জুহি। ইনসেটে রাসেল ও গিল।