কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ইউরো জোনের বাছাই পর্বে ‘বি’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে লুক্সেমবার্গ ২-১ গোলে লিথুয়ানিয়াকে হারিয়ে দেওয়ায় তারা এখন গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে। তবে ওই দুটি দলকেই গ্রুপের পরবর্তী দুটি ম্যাচে আশা করা যায় সহজেই হারাবে পর্তুগাল। যেহেতু প্রতি গ্রুপ থেকে দুটি করে দল ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের মূলপর্বে যাবে তাই প্রথম ম্যাচ ড্র করেও গতবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালকে মূলপর্বের টিকিট পেতে তেমন ঘাম ঝরাতে হবে না। ম্যাচের শুরু থেকেই ইউক্রেন রক্ষণ মজবুত করে দেওয়ালে পিঠ দিয়ে দুর্গ সামলেছে। ক্যাপ্টেনস আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নেমে রোনাল্ডো বিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে মোট ৭টি শট নেন। তার মধ্যে ৩টি লক্ষ্যে নির্ভুল ছিল। তবু তিনি শুক্রবার রাতে গোল পাননি। পর্তুগালের রাইট ব্যাক জোয়াও ক্যানসেলো জুভেন্তাসে রোনাল্ডোর সঙ্গেই খেলেন। তিনি বহুবার ওভারল্যাপে উঠে ইউক্রেনের বক্সে ক্রস সেন্টার তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু শূন্যে রোনাল্ডো যে জায়গায় হেড নেওয়ার জন্য বল চান তার জোগান তিনি শুক্রবার পাননি। তাই মাঝেমধ্যেই তাঁকে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায়। ইউক্রেনের এই দলটির কোচ বিখ্যাত প্রাক্তন স্ট্রাইকার আন্দ্রে শেভচেঙ্কো। তিনি নিখুঁতভাবে রক্ষণাত্মক বিন্যাস সাজান। ইউক্রেনের গোলরক্ষক আন্দ্রি পায়াটভ গোলের নিচে প্রায় দুর্ভেদ্য হয়ে উঠেছিলেন। বেশ কয়েকটি কঠিন সেভ করে তিনি দলকে বাঁচান। পর্তুগালের আপফ্রন্টে ব্যর্থ হন আন্দ্রে সিলভা। রোনাল্ডো বার তিনেক প্রায় ইউক্রেন গোলরক্ষককে পরাস্ত করে ফেলেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি। আসলে আপফ্রন্টে রোনাল্ডো তেমন সাপোর্টও পাননি। তাঁর একটি কঠিন শট ইউক্রেনের গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন। ম্যাচের শেষে ইউক্রেনের কোচ শেভচেঙ্কো বলেন, ‘আমাদের ডিফেন্সিভ গেমপ্ল্যান ছিল ১০০ শতাংশ নিখুঁত। অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে এসে আমরা দুর্গ অক্ষত রেখে ফিরছি।’
আগামী সোমবার লিসবনে পর্তুগাল ইউরো বাছাই পর্বে দ্বিতীয় ম্যাচে খেলবে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, মাদ্রিদে আয়োজিত প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্তিনার জার্সিতে প্রত্যাবর্তন করলেও লিও মেসির কপাল খুব খারাপ ছিল। তাঁর দল ১-৩ গোলে হেরে গেল ভেনেজুয়েলার কাছে। গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মতো মেসির পেলভিক মাসলে চোট লাগে। এর ফলে মরক্কোর বিরুদ্ধে ম্যাচে মেসির খেলতে পারবেন না। এই ম্যাচটি হয়েছিল আতলেতিকো মাদ্রিদের ঘরের মাঠ ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটন স্টেডিয়ামে। প্রথমার্ধে সলোমন রনডন ও জন মুরিলোর গোলে এগিয়ে যায় ভেনেজুয়েলা। এরপর একটি গোল করে ব্যবধান কমান আর্জেন্তিনা ফরোয়ার্ড লাতুরো মার্টিনেজ। এরপর অন্তিম মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল করে ভেনেজুয়েলার জোসেফ মার্টিনেজ দলের জয় নিশ্চিত করেন। এটি ছিল মেসির ১২৯তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। মূলত কোপা আমেরিকার প্রস্তুতির লক্ষ্যে আর্জেন্তিনা এই দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলছে। কিন্তু তার শুরুটা আদৌ ভালো হল না আর্জেন্তিনার পক্ষে।