পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ফেডারেশনের সভাপতি হিসাবে তাঁর তৃতীয় টার্ম শেষ হচ্ছে। তাই কেন্দ্রীয় ক্রীড়ানীতির জন্য ২০২০ সালের ডিসেম্বরের পর ফেডারেশন সভাপতি হিসাবে আর থাকতে পারবেন না প্রফুল্ল প্যাটেল। টার্ম শেষ হওয়ার তিন মাস আগে, অক্টোবর মাসে এই জুনিয়র বিশ্বকাপ। তাই প্রফুল্লর আনন্দ আর ধরছে না।
জুনিয়র বিশ্বকাপ পাওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস। তিনি বলেন,‘লোকসভা নির্বাচন শেষ হলেই বিদেশি মুদ্রা সংক্রান্ত অনুমোদনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দরবার করা হবে।’ তবে ২০২০ সালে তিনি সচিব নাও থাকতে পারেন।
ফেডারেশনের সহ সভাপতি সুব্রত দত্ত জানান,‘ বিড প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আট মাস আগে। ফিফা তাই অনুমোদন দিয়েছে। দিল্লিতে বিশ্ব শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে দুই পাক শ্যুটারকে ভিসা না দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক ওলিম্পিক সংস্থা ভারতীয় ওলিম্পিক সংস্থার উপর যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তা এই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। তাই টুর্নামেন্ট নিয়ে জটিলতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।’ ঘটনা হল, মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের খেলার কোনও সম্ভাবনাই নেই। পাকিস্তানে মহিলা ফুটবল সেইভাবে খেলাই হয় না। তবে যতই জুনিয়র বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব ভারত পাক, প্রদীপের নীচে কিন্তু ঘোর অন্ধকার। ভারত অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়ায় দেশে মহিলা ফুটবলের হাল ফিরবে কি? আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর জানালেন,‘মে মাসে মহিলা জাতীয় লিগ করার চেষ্টা চলছে। রূপরেখা প্রায় তৈরি।
গোটা দেশ জুড়ে মহিলা ফুটবলাররা চূড়ান্ত অবহেলিত। অধিকাংশ রাজ্যেই মহিলা লিগ হয় না। গোয়া ও মণিপুর ব্যতিক্রম। আইএফএ কোনওক্রমে মহিলা লিগ সংগঠিত করে। তবে তা নিয়ে কলকাতার ফুটবল অনুরাগীদের তেমন হেলদোল নেই। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের মহান কর্তারা এখন জাতীয় পর্যায়ে মহিলা লিগ সংগঠন করতে পারেনি। মহিলা ফুটবলে পিছিয়ে থাকা এমন একটি দেশকেই ফিফা ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ সংগঠনের দায়িত্ব দিল!
ফিফার এই সিদ্ধান্ত একদিক থেকে বিস্ময়কর। হয়তো দেশের ১৩০ কোটি জনসংখ্যার জন্যই ফিফা তিন বছরের মধ্যে আবার একটি বিশ্বকাপ ভারতকে দিল। ভারতের বিশাল মার্কেট ধরতে চাইছে। ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের জন্য দেড় বছর আগেই ভারতের ফুটবল পরিকাঠামো অবশ্য তৈরি আছে। ফাইনালের ক্ষেত্রে কলকাতা নিশ্চয় বড় দাবিদার। ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের সময়ে কলকাতার প্রতিটি ম্যাচে ৬০ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিল। তাই টুর্নামেন্ট সেমি ফাইনালে পৌঁছানোর আগেই দর্শক সংখ্যার বিচারে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেয় ভারত। এখানেও কলকাতার বড় ভূমিকা ছিল। ভারত অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়ায় দেশে মহিলা ফুটবলের হাল ফিরবে কি?