গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপের ঘণ্টা বাজতে আর খুব বেশি দেরি নেই। তার আগে আইপিএলকেই চূড়ান্ত মহড়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে তা নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টিমগুলির যে কোনও মাথাব্যথা নেই, তা পরিষ্কার বোঝা গেল স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের বক্তব্যে। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন, ‘ধোনি গত বছরও বেশিরভাগ ম্যাচেই চার নম্বরে ব্যাট করেছিল। অবশ্য মাঝেমধ্যে আমরা ওকে অন্য জায়গাতেও ব্যবহার করেছি। এবারও তার রদবদল ঘটবে না। প্রায় গত ১০ মাস ধরে দুরন্ত ফর্মে রয়েছে সে। ফলে ওর কাছে এবারও আমাদের বড় প্রত্যাশা থাকবে।’ সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের দলে একজন নতুন খেলোয়াড়ও রয়েছে, যে চার-পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে পারে। হ্যাঁ, কেদার যাদব। সম্প্রতি ভারতীয় দলের হয়ে সেও খুবই ভালো পারফরম্যান্স করেছে। গত আইপিএলে মাত্র একটা ম্যাচ খেলেই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল কেদার। এবার শুরু থেকেই ওর সার্ভিস পাওয়া যাবে। তাই বলতে দ্বিধা নেই, ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে আমরা খুবই খুশি। শুধু মাঠে নিজেদের দক্ষতার যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে।’
চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে এটি ধোনির দশম মরশুম। গত ৯টি মরশুমে তাঁর নেতৃত্বে তিনবার আইপিএল খেতাব জয়ের স্বাদ পেয়েছে সিএসকে। মাঝে দু’বছরের জন্য সিএসকে নির্বাসনে থাকার কারণে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টে খেলেছিলেন ধোনি। গত বছর নিজের পুরানো ঠিকানায় ফিরেই চেন্নাইকে ফের সেরার মুকুট এনে দিয়েছেন মাহি। সঙ্গত কারণে তাঁকে কেন্দ্রে রেখেই আবর্তিত হচ্ছে সিএসকে’র খেতাবরক্ষার স্বপ্ন। এই প্রসঙ্গে ফ্লেমিং বলেন, ‘ধোনি হচ্ছে আমাদের দলের মূল স্তম্ভ। এতদিন ধরে একটা দলে খেলার সুবাদে নিজেদের শক্তি দুর্বলতা সম্পর্কে ওর জলের মতো স্বচ্ছ্ব ধারণা রয়েছে। কঠিন পরিস্থিতি থেকেও কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, তা ওর চেয়ে ভালো কেউ জানে না। আশা করি, এবারও দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে ধোনি।’
এদিকে, বিগ ব্যাশে মেলবোর্ন স্টার্সের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্টিফেন ফ্লেমিং। প্রাক্তন নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের কোচিংয়ে দু’বার ফাইনালে পৌঁছেছে তারা। যার মধ্যে এ বছরও তারা ফাইনালে খেলেছে। কিন্তু অল্পের জন্য মেলবোর্ন স্টার্সকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি তিনি। ফাইনালে মাত্র ১৩ রানে হেরে যায় তাঁর দল। দু’বার খুব কাছে পৌঁছেও খেতাব জেতাতে না পারার হতাশায় দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন ফ্লেমিং। তাঁর কথায়, ‘আমার মনে হয়েছে, সরে দাঁড়ানোর এটাই সঠিক সময়, যাতে অন্য কেউ এসে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। মেলবোর্ন স্টার্স এখন খুবই ভালো অবস্থায় রয়েছে। এই মরশুমই তার প্রমাণ।’ তবে কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও মেলবোর্ন স্টার্সের ইন্টারন্যাশনাল ট্যালেন্ট অ্যাডভাইসার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ফ্র্যাঞ্চাইজি টিমটির হয়ে যুক্ত থাকবেন ফ্লেমিং।