বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মূলত বিরাট কোহলির সঙ্গে বিরোধের জেরে অনিল কুম্বলে সরে দাঁড়ানোর পর ভারতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে আসেন রবি শাস্ত্রী। আর সেটাও অধিনায়কের চাহিদার ভিত্তিতে। তাই মনে করা হচ্ছিল, ক্যাপ্টেন কোহলির সমর্থন ও টিম ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক সাফল্যের গ্রাফ দেখিয়ে অনায়াসেই ‘এক্সটেনশন’ আদায় করে নেবেন শাস্ত্রী। কিন্তু জানা গিয়েছে বাস্তবে সেটা হচ্ছে না। প্রখ্যাত ক্রিকেট ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’ এমনটাই জানিয়েছে। তাদের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বকাপের পরেই নতুন কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দেবে বিসিসিআই। অনিল কুম্বলের পদত্যাগের পর গতবার যেমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল, এবারও ঠিক তেমনটাই করা হবে। অর্থাৎ শাস্ত্রী সহ ভারতের কোচিং স্টাফের পদে নতুন নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেবে বিসিসিআই। শুধু তাই নয়, গতবারের মতো এবারও কোচ নির্বাচনে তিনজনকে নিয়ে বিশেষ পরিচালন কমিটি গঠন করতে চায় বিসিসিআই। সেই কমিটিতে আগের মতোই দেখা যেতে পারে শচীন তেন্ডুলকর, সৌরভ গাঙ্গুলি ও ভিভিএস লক্ষণকে। তাঁরাই কোচের পদের জন্য আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে বিসিসিআইয়ের কাছে চূড়ান্ত রিপোর্ট পাঠাবেন।
তাহলে কি দলের সাফল্য উপভোগ করা শাস্ত্রী কোচের পদ হারাতে যাচ্ছেন? অনেকে অবশ্য মনে করছেন- নতুন কোচ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর শাস্ত্রীর আগ্রহ থাকলে নতুন করে আবারও তাঁকেই দায়িত্ব দেবে বোর্ড। তবে কারা আবেদন করেন, কয়টি আবেদন জমা পড়ে, সেটা দেখার পর শাস্ত্রীকে নিয়ে আবার একদফা ভাববে বিসিসিআই। যদি বিসিসিআইয়ের পছন্দসই আবেদনপত্র জমা না পড়ে, তাহলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্থায়ী কোচের দায়িত্ব পালন করবেন শাস্ত্রীই। সঙ্গত ভাবে তাঁর সঙ্গে যুক্ত থাকবেন সঞ্জয় বাঙ্গার (ব্যাটিং কোচ), ভরত অরুণ (বোলিং কোচ) এবং আর শ্রীধর (ফিল্ডিং কোচ)। অবশ্য এটাও ঠিক যে, শাস্ত্রীদের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করবে বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সের উপর। বিশ্বকাপ শেষ হবে ১৪ জুলাই। আর শাস্ত্রীর চুক্তি শেষ হবে জুলাইয়ের শেষে। ঠিক একই সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে ভারত। বিশ্বকাপের পর নতুন কোচ নির্বাচনের জন্য তাই মাত্র দুই সপ্তাহ সময় পাবে বোর্ড।
মনে করা হচ্ছে, সাক্ষাৎকারের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিদের তালিকায় সরাসরি ঢুকবেন শাস্ত্রী। কারণ গতবারও বিসিসিআই সরাসরি ইন্টারভিউয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল তৎকালীন কোচ অনিল কুম্বলেকে। যদিও কুম্বলের ভাগ্যে আর শিকে ছেঁড়েনি। কোহলির প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে নতুন কোচ হন শাস্ত্রী। বড় কোনও পট পরিবর্তন না ঘটলে এবারও শাস্ত্রী-কোহলির সম্পর্কের রসায়নই হবে নতুন কোচ নির্বাচনের মাণদণ্ড।