রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ঘিরে সমর্থকদের উৎসাহ তুঙ্গে। মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের মতো কলকাতা নাইট রাইডার্সও বুধবার ইডেনের গ্যালারি দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়ার কথা বলেছিল প্র্যাকটিস দেখার সুযোগ করে দিতে। আর তার ফলে হাজার হাজার কেকেআর সমর্থক ক্লাব হাউসের বাইরে দুপুর থেকেই হাজির হন। লম্বা লাইন পড়ে রাস্তার উপর। কিন্তু কেকেআরের প্র্যাকটিস শুরু হয়ে যাওয়ার পরেই গেট না খোলায় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। কিছু উৎসাহী কেকেআর সমর্থক রাস্তায় বসে পড়েন। কিছুক্ষণের জন্য ইডেনের সামনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে অবশ্য গেট খোলার পর অবরোধ উঠে যায়। গতবার খেতাব জয়ের আশা জাগিয়েও শেষরক্ষা হয়নি কেকেআরের। তবে কোচ জ্যাক ক্যালিস এবার বেশ আশাবাদী। তিনি বলেছেন, ‘এই মরশুমে ক্রিকেটাররা ভালো ফর্মে আছে। তবে বেশ কিছু ক্রিকেটারকে আমরা দলে নিয়েছি, যারা টিম কম্বিনেশনে ভারসাম্য গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। আমাদের এবার লক্ষ্য ছিল পেস আক্রমণকে আরও বেশি শক্তিশালী করা। সেই লক্ষ্যে অনেকটাই সফল। স্পিন বিভাগ আমাদের খুবই ভালো। কুলদীপ যাদব জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিত ভালো পারফর্ম করছে। পীযূষ চাওলা যথেষ্ট অভিজ্ঞ। সুনীল নারিনও দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। নেটে ও বেশ ভালোই বল করছিল। আরও কয়েকদিন প্র্যাকটিসের পর ওর পজিশনটা বোঝা যাবে। তরুণ মিস্ট্রি স্পিনার কারিয়াপ্পা আছে। আসলে আইপিএল এমন একটা টুর্নামেন্ট, যেখানে সব অপশন খোলা রাখতে হয়। সব পিচ সমান হয় না। তাই পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিচার করে দল সাজাতে হয়। আমাদের পেস বিভাগে অনেকগুলো নতুন মুখ এসেছে। যা খুবই ইতিবাচক।’ উল্লেখ্য, কার্লোস ব্রেথওয়েট কলকাতা নাইট রাইডার্সের বড় অলরাউন্ডার। লুকি ফার্গুসনও চমক দিতে পারে।
কেকেআরের ব্যাটিংয়ে বিগ হিটার হিসাবে সুনাম রয়েছে ক্রিস লিন, ব্রেথওয়েট ও আন্দ্রে রাসেলের। এই প্রসঙ্গে ক্যালিস বলেছেন, ‘আমাদের হাতে অনেক পাওয়ার হিটার আছে। তবে কোন ম্যাচে কাকে খেলানো যাবে, সেটা দেখতে হবে। রিচার্ভ বেঞ্চও যথেষ্ট শক্তিশালী। যদি কখনও ইনজুরি সমস্যা মাথা চাড়া দেয়, তাহলে পরিবর্ত ক্রিকেটার খুঁজে নিতে সমস্যা হবে না।’
ইডেনের উইকেট নিয়ে ক্যালিস বলেন, ‘গতবারের তুলনায় কোনও তফাৎ খুঁজে পাইনি। পেস-বাউন্স উভয়ই রয়েছে। ভালো উইকেট। ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা পাবো আমরা। আপাতত প্রথম দু’টি হোম ম্যাচ জেতার টার্গেট করেছি। সাতটি হোম ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়া নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা ছিল। সেটা কেটে গিয়েছে। ঘরের মাঠে দর্শক সমর্থন নিয়ে খেলার বাড়তি সুবিধা রয়েছে। সেটা আমাদের কাছে বোনাস বলতে পারেন।’
ক্যাপ্টেন দীনেশ কার্তিককে এবারও ফিনিশার হিসাবে কাজে লাগানোর ইঙ্গিত আগেই দিয়ে রেখেছেন কেকেআর সাপোর্ট স্টাফরা। তবে জ্যাক ক্যালিস বলছেন, ‘দ্বাদশ আইপিএলে নতুন ওপেনিং জুটি দেখা যেতে পারে। গতবার অনেক ম্যাচে ক্রিস লিনের সঙ্গে ওপেন করেছিলেন সুনীল নারিন। এই জুটি সফল। ম্যাচ বিশেষে আমরা অন্য ওপেনিং জুটিও মাঠে নামাতে পারি। বড় সুবিধা হল দলে অনেক অলরাউন্ডার রয়েছে। যে কোনও পজিশনে তারা ব্যাট করতে পারে।’