বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
লেরয় সানে, নিকলাস সুল, জোসুয়া কিমিচদের প্রশংসা করে মঙ্গলবার জোয়াকিম লো বলেছেন, ‘আমাদের দলে একঝাঁক প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন ফুটবলার রয়েছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতা কম হলেও সানে-কিমিচদের উপর ভরসা রাখাই যায়। রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়ার পর সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছি। তবে এটাই স্বাভাবিক। বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে চলাই জার্মানির লক্ষ্য। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ম্যাচে কম্বিনেশন পরখ করে নেব। রবিবার নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে খেলা। গত বছর নেশনস লিগের প্রথম ম্যাচে আমরা ওদের কাছে ০-৩ গোলে হেরেছিলাম। পরের ম্যাচ অবশ্য ২-২ হয়েছিল। তবে এবার পরিস্থিতি অন্য। স্কোয়াডের প্রতিটি ফুটবলার জানে, ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য কী করতে হবে।’ উল্লেখ্য, হারথা বার্লিনের ডিফেন্ডার নিকলাস স্টার্ক, ওয়ার্ডার ব্রেমেনের মিডফিল্ডার ম্যাক্সিমিলিয়ান এজেস্টেইন এবং লিপজিগের ফুল ব্যাক লুকাস ক্লোস্টারম্যানকে স্কোয়াডে রেখেছেন কোচ জোয়াকিম লো।
জার্মানির প্রাক্তন ফুটবলার তথা কোচ জুরগেন ক্লিন্সম্যান মনে করেন, হামেলস-বোয়েতাংদের জাতীয় দলে ফেরানো উচিত। তাঁর বক্তব্য, ‘শুধুমাত্র তারুণ্যের উপর নির্ভর করে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজন অভিজ্ঞতারও। টমাস মুলার কিংবা ম্যাটস হামেলসের প্রয়োজনীয়তা এখনও রয়েছে জাতীয় দলে। গত কয়েক বছর জার্মানির ফুটবল শুধুই অবক্ষয়ের সাক্ষী। ব্রাজিল বিশ্বকাপ জয়ের পর আর কোনও সাফল্যই নেই আমাদের। তাই ডিএফবি কর্তাদেরও এবার ভেবেচিন্তে পা ফেলা উচিত।’
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এই মুহূর্তে ১৬তম স্থানে রয়েছে জার্মানি। বুধবার প্রীতি ম্যাচের প্রতিপক্ষ সার্বিয়ার স্থান ৩১। তবে এই র্যাঙ্কিংকে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে জোয়াকিম লো বলেছেন, ‘সার্বিয়া অত্যন্ত শক্তিশালী দল। মুহূর্তের অসাবধানতা কাজে লাগাতে ওরা পারদর্শী। তাই সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরেই জয় তুলে নিতে হবে। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য এছাড়া অন্য কোনও পথ জার্মানির সামনে খোলা নেই।’