বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এখন তাই সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়ে কোয়েসের উপর চাপ বাড়াতে আজ কর্মসমিতির সভা। ওই সভায় কোয়েস ইস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অজিত আইজ্যাককে আমন্ত্রণ পাঠায় ক্লাব। তবে তিনি সোমবারের সভায় আসছেন না। বরং এই ঘটনা নিয়ে তিনি কোয়েস ইস্ট বেঙ্গল এফসি’র হোম পেজে একটি বিবৃতি পোস্ট করেন। ওই বিবৃতিতে তিনি সদস্য ও সমর্থকদের মধ্যে সূক্ষ্ম বিভাজনের চেষ্টা করেছেন। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রবিবার সন্ধ্যা থেকে ঝড় উঠেছে। মরশুম এখনও শেষ না হলেও আইজ্যাক লিখেছেন, ‘ক্লাবের সাফল্যের জন্য আমরা মুখিয়ে রয়েছি। গত মরশুমে দলের জন্য প্রচুর খরচ করেছি। ফেডারেশন উন্নত মানের পরিকাঠামো গড়ে তুললে আর ভালো মাঠ দিলেই আমরা খেলতে রাজি। কিন্তু কিছু ইস্ট বেঙ্গল সদস্য এটা নিয়ে রাজনীতি করছেন। যা তাঁরা না করলেই পারতেন।’ ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের কিছু সদস্যের দিকেও তিনি তির ছুঁড়ে বলেছেন লাল হলুদের সমর্থকদের সাপোর্ট বেস দেশের সেরা। ইস্ট বেঙ্গলকে বিশ্বের সেরা টিমে পরিণত করতে চান তিনি।
এই পোস্টের আধ ঘণ্টার মধ্যে ইস্ট বেঙ্গলের এক পদাধিকারী বলেন,‘উনি কি করে ইস্ট বেঙ্গলকে বিশ্বের সেরা ক্লাবে পরিণত করবেন? উনি আই লিগের দুটি ক্লাবের শীর্ষ কর্তাদের কথায় চলছেন। তাই ফুটবলারদের বলছেন খেলতে হবে না। এ তো বিচারপতিরা রায় দেবেন না, চিকিৎসকরা ডাক্তার দেখবেন না এমন ব্যাপার। এবার আই লিগের শেষ পর্বে আমাদের দল ভালো খেলেছে। সুপার কাপের মূল পর্বে আমরা সুবিধাজনক ক্রীড়াসূচি পেয়েছি। তাই না খেলাটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্তর মতো হবে। গত ৫০ বছরে ইস্ট বেঙ্গল কখনও মাঠ ছেড়ে যায়নি।’
ইস্ট বেঙ্গলের সদ্য গঠিত মেম্বার্স ফোরাম আবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বাংলা ও ইংরাজি মিশিয়ে কোয়েস চেয়ারম্যান অজিত আইজ্যাকের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘ক্লাবের সদস্যরা খারাপ আর সমর্থকরা ভালো- এই নোংরা বিভাজনের খেলা বন্ধ করুন। এর আগে ইউ বি গ্রুপ আমাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ২০ বছর ছিল। তারা এমন আচরণ করেনি। আপনার কোম্পানিকে তো কেউ চিনত না। সদস্যরা এই ক্লাবের শক্তি। কিন্তু আমরা কোনওদিন ফুটবলের মাঠ থেকে পালিয়ে যাইনি। সুপার কাপ খেলা উচিত।’
এই পোস্টে অজিত আইজ্যাককে ‘তুমি’ বলে সম্বোধন করা আছে। যা বেশ দৃষ্টিকটূ লেগেছে শিক্ষিত ফুটবলপ্রেমীদের। ঘটনা হল, কোয়েস ইস্ট বেঙ্গলকে টেকওভার করেছিল আইএসএলে খেলার জন্য। কিন্তু বিড পেপার বের হওয়ার মুহূর্তে সেই কোয়েসই আইএসএল খেলতে চাইছে না।
তবে এই ডামাডোলের মধ্যেই কিন্তু আগামী ২৩ মার্চ থেকে ইস্ট বেঙ্গলের প্র্যাকটিস শুরু হবে বলে জানান কোয়েস ইস্ট বেঙ্গলের পেইড ম্যানেজার ব্রিগেডিয়ার বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জি। তিনি বলেন, ‘কোচ আলেজান্দ্রো ২২ মার্চ আসছেন। ফুটবলাররা প্রথম দিন থেকে উপস্থিত থাকবেন প্র্যাকটিসে।’
তাই ইস্ট বেঙ্গলে কী হচ্ছে তা কিছুই বোঝা যাচ্ছে না!