কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বগুলা কৃষ্ণচন্দ্র কলেজের বি এ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সুরভি। ছোটবেলা থেকেই ফোকাস ডিসকাসের প্রতি। হবেই তো। বাদকুল্লা স্টেশন পাড়া রোডের বিশ্বাস পরিবারেরই তো ডিসকাসের প্রতি প্রেম চিরাচরিত। বাবা সুশীল বিশ্বাসের কাছেই ডিসকাসে হাতেখড়ি সুরভির। সুশীল বাবু একদা জেলার চ্যাম্পিয়ন থ্রোয়ার ছিলেন। ১৯৯৬-৯৭ সালে ২ কেজি ওজনের ডিসকাস ৪১ মিটারের বেশি দূরত্বে ছুঁড়ে তিনি রেকর্ড গড়েছিলেন। সেই রেকর্ড ভাঙেন তাঁরই ছেলে সম্রাট বিশ্বাস। আর সম্রাটের বোন সুরভি। এক বোন ও ভাইয়ের সংসারে বাকি দুই সদস্য বলতে তাঁদের বাবা-মা।
সুশীল বিশ্বাস একদা আর্মিতে চাকরি করতেন। শৃঙ্খলায় মুড়ে কন্যাকেও তৈরি করছেন। শনিবার বাদকুল্লা অনামী ক্লাবের মাঠে প্র্যাকটিস করানোর সময় সুশীলবাবু বলছিলেন, ‘ডিসকাসে সুরভির রোটেশন ও রিলিজ খুবই উচ্চমানের। প্রায় ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতার সুরভির লক্ষ্য ফিটনেস ঠিক রাখা। ভেবেছিলাম জীবনের প্রথম সিনিয়র ফেড কাপে সুরভি আরও ভালো করবে। তবে আশা করছি, ভবিষ্যতে আরও ভালো ফল করবে সুরভি।’ বাদকুল্লা অনামী ক্লাবের মাঠে প্র্যাকটিস করেই সুরভির উঠে আসা।
শুক্রবার পাতিয়ালায় সুরভিদের ইভেন্টে সোনা জিতে এশিয়ান মিটে যোগ্যতা অর্জন করেছেন কমলপ্রীত কাউর। এশিয়ান মিটের যোগ্যতামান না পেরতে পারায় কিছুটা হতাশা রয়েছে নদীয়ার ‘ডিসকাস’পরিবারে। তবে এই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেই আগামী দিনে আরও সাফল্য পাবেন সুরভি, এটাই আশা করেন বিশ্বাস পরিবার।
গত বছর রাজ্য অ্যাথলেটিকস মিটে ডিসকাস ও শটপুটে প্রথম স্থান পেয়েছিলেন সুরভি। ২০১৫ সালে লখনউতে অনুষ্ঠিত জুনিয়র ফেড কাপে সোনা জিতেছিলেন সুরভি। দু’বছর পরেই সারা ভারত আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় মিটে ব্রোঞ্জ জেতেন সুরভি। এবার তাঁর লক্ষ্য আন্তর্জাতিক ইভেন্টে পদক জেতা।
সল্টলেক সাইয়ে কোচ সুশান্ত রায় এবং ওলিম্পিয়ান সোমা বিশ্বাস মেন্টর সুরভির। ভারতীয় রেলের টার্গেট রয়েছে সুরভির দিকে। অর্থাৎ তারা এই অ্যাথলিটকে নিতে চায়। সোমা বিশ্বাসও এই ব্যাপারটির জন্য সুরভির দিকে নজর রেখেছেন। ডিসকাস ছাড়াও ফ্যাশন সুরভির দ্বিতীয় পছন্দ। রকমারি ড্রেস পরেন। প্র্যাকটিস কস্টিউমেও তাঁর চমক থাকে। ডিসকাস ইভেন্টে আরও ভালো ফল করে নিজের জীবনকে বর্ণময় করতে চান সুরভি বিশ্বাস। উল্লেখ্য, আর এক বাঙালি মহিলা অ্যাথলিট লিলি দাসও সর্বভারতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রাঙ্গণে তাঁর দক্ষতার একের পর এক প্রমাণ রেখে চলেছেন। লিলি এখন ভারতের অন্যতম সেরা মিডল ডিসটেন্স রানার। এই প্রতিযোগিতায় তিনিও যে পদক জিতবেন এটা প্রায় নিশ্চিত।