মায়ামি, ১৬ মার্চ: আগামী কাতার বিশ্বকাপেই অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ৩২ থেকে বাড়িয়ে ৪৮ করার যে উদ্যোগ ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফানতিনো নিয়েছিলেন তা শুক্রবার সংস্থার কাউন্সিল মিটিংয়ে বড় ধাক্কা খেল। তীব্র গরমের জন্য ২০২২ সালের বিশ্বকাপ জুন-জুলাইয়ের বদলে ২১ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর কাতারে হবে। ইউরোপের ফুটবলের তখন ভরা মরশুম। তাই এমনিতেই ৩৬-৩৭ দিনের টুর্নামেন্টকে চার সপ্তাহে নামিয়ে আনা হয়েছে। এরই মধ্যে আবার বিশ্বকাপ সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা। ইউরোপের যে সব দেশের ফুটবল লিগ জনপ্রিয় তারা এই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। তাই উপসাগরীয় দেশগুলিতে বিশ্বকাপ ফুটবল ছড়িয়ে দিয়ে মোটা অর্থ উপার্জনের যে প্রচেষ্টা ইনফানতিনো করছেন তা কতটা ফলপ্রসূ হবে কিনা তা নিয়ে ঘোর সন্দেহ রয়েই যাচ্ছে। সবথেকে বড় কথা হল, কাতার এককভাবে টুর্নামেন্ট করার কৃতিত্ব ছাড়তে চাইছে না। কাতারের আটটি স্টেডিয়াম তৈরি। কাতার তাদের প্রস্তুতি নিয়ে একটি প্রেজেন্টটেশন দেবে জুন মাসে ফিফা কংগ্রেসে। তাই জুন পর্যন্ত ইনফানতিনোর এই প্রস্তাব ঝুলেই থাকল। কাতারের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলির সম্পর্ক ভালো নয়। কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। ৪৮টি দেশ নিয়ে বিশ্বকাপ করার ক্ষেত্রে এই ব্যাপারে জোর দেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ফুটবল কর্তারা। তবে ইনফানতিনো আশা ছাড়ছেন না। তিনি শুক্রবার রাতে বলেছেন,‘ কাতারের কোনও প্রতিবেশী দেশের দুটি স্টেডিয়াম আমাদের প্রয়োজন। কোনও একটি দেশে দুটি স্টেডিয়াম পেলেই আমরা ৪৮ দলের টুর্নামেন্ট করতে পারব।’ জানা গেল, ফিফা নিজে কুয়েত এবং ওমানের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলছে। তবে তাদের ভাবনায় সৌদি আরব কিংবা সংযুক্ত আবর আমিরশাহী নেই। তবে কুয়েত সিটিতে জাবের আল আমেদ স্টেডিয়ামের দর্শক আসন সংখ্যা ৬০ হাজার। এই স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যা চলনসই। তবে অপর স্টেডিয়াম আল সালেমের আসন সংখ্যা মাত্র ২৬ হাজার।
ওমানের বসার- সুলতান স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যা মাত্র ৩৪ হাজার। তাই দুই বিকল্প দেশেই আছে পরিকাঠামোগত সমস্যা। ইনফানতিনো বলেন,‘আমরা চাইছি কাতার বিশ্বকাপের বৃহত্তর সাফল্য। যাতে এই অঞ্চলের ফুটবলের উন্নয়ন ঘটে। কিন্তু ওই অঞ্চলের সংবাদ মাধ্যম এখন নেতিবাচক খবর করছে। যা একেবারেই কাম্য নয়।’ কাতারের সংবাদ মাধ্যমে ফিফার এই উদ্যোগের সমালোচনা করে বলা হয়েছে, আমাদের দেশ যাতে এককভাবে বিশ্বকাপ না করতে পারে তাই হঠাৎ ৪৮ দেশের বিশ্বকাপ নিয়ে এই প্রস্তাব।
তাই ইনফানতিনোর প্রস্তাব শুধু জুন মাস পর্যন্ত ঝুলেই রইল না, মায়ামি নতুন বিতর্কেরও জন্ম দিল।
২০২৩ এশিয়া কাপ করতে চাইছে চীন: এবার চীন ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ করার জন্য বিড জমা দিল এএফসি’তে। ২০৩৪ বিশ্বকাপ চীন নিজেদের দেশে করতে চাইছে। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই চীনের এই পদক্ষেপ। চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং নিজেদের দেশে বিশ্বকাপ ফুটবল করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।