পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কালের নিয়মে ভারতীয় ক্রিকেট দলের নেতৃত্ব বদল হয়েছে। অধিনাকত্বের আর্মব্যান্ড ধোনির কাছ থেকে চলে এসেছে বিরাট কোহলির কাছে। দু’জনের মধ্যে পার্থ কি? জবাবে ইশান্ত বলেন, ‘কেরিয়ারের শুরুটা সব সময় কঠিন হয়। সেই সময় অধিনায়ক হিসাবে মাহিকে পাশে পেয়েছিলাম। এখন আমি দলের সিনিয়র সদস্য। ক্যাপ্টেন কোহলি আমার উপর ভরসা রাখে। তাই ক্লান্ত শরীরেও ভালো বল করার চেষ্টা করি। প্রথম দিকে ভালো বল করার উপর বেশি নজর দিতাম। এখন বেশি করে উইকেট নেওয়ার লক্ষ্যে বল করি।’
ইশান্ত শেষ একদিনের ম্যাচটি খেলেছিলেন তিন বছর আগে। এখন তাঁকে টেস্ট বোলার হিসাবেই দেখা হয়। তবে ইশান্ত সেটা মানতে রাজি নন। তিনি বলেছেন, ‘সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আমি বড় দায়িত্ব পালন করতে পারব না এমন ধারণা ঠিক নয়। জানি না কারা এসব রটাচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনই চাই না টেস্ট বোলারের ট্যাগ নিয়ে খেলতে। এটাও চাই যে কেউ বলবে ইশান্ত টি-২০ কিংবা সাদা-বলের ক্রিকেটার। যে ক্রিকেটার লাল বলে ভালো পারফর্ম করে, সে সাদা বলেও সমানভাবে সাফল্য পেতে পারে। আইপিএলে আমি যদি সাদা বলে ভালো বল করতে পারি, তাহলে নিশ্চিত করে বলতে পারি চতুর্থ পেসার হিসাবে বিশ্বকাপে যাব। কারণ, ভারতীয় দল এখনও চতুর্থ পেসারের খোঁজ চালাচ্ছে। তাই আইপিএলের মঞ্চে সেরাটা মেলে ধরার চেষ্টা করব। একটা সময় ছিল, যখন আমাকে প্রমাণ করতে হয়েছিল ভালো বল করতে পারি। তারপর আমি প্রমাণ করেছি, উইকেট নিতে পারি। আসলে একজন বোলার নিয়মিত উইকেট নিলে তার সম্পর্কে ধারণা দ্রুত বদলে যায়।’
জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান এম এস কে প্রসাদের সঙ্গে কি কোনও কথা হয়েছে? জবাবে ইশান্ত বলেন, ‘সত্যি বলতে কী, আমি কখনও এই ব্যাপারে কারও সঙ্গে কথা বলব না। আমি কাউকে দোষ দিতেও চাই না। সব দায় আমি নিজের কাঁধেই নিতে ভালোবাসি। তাই আমাকে কেন ওয়ান ডে দলে রাখা হল না, তা নিয়ে কারও কৈফিয়ত চাওয়ার ইচ্ছা আমার নেই।’
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন পৃথ্বী সাউ
নয়াদিল্লি, ১৬ মার্চ: ভারতীয় টেস্ট দলের ওপেনার পৃথ্বী সাউয়ের অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝ পথে দেশে ফিরে আসার কারণ নিয়ে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছিল। শোনা গিয়েছিল, শুধু চোটের কারণে নয়, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য তাঁকে নাকি দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। যদিও এই জল্পনা উড়িয়ে পৃথ্বী দাবি করেছেন, ‘এসব গুজব। আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না।’
অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝে চোট পেলেও পৃথ্বীকে তৃতীয় টেস্টে পাওয়ার আশা করেছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু চোট থেকে যত দ্রুত তিনি সেরে উঠবেন বলে মনে করা হয়েছিল, সেটা হয়নি। পৃথ্বী নাকি রিহ্যাবের সব সিরিয়াস ছিলেন না বলেও অভিযোগ ছিল। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়েই তাঁকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে পৃথ্বী বলেছেন, ‘আমি এরকম কথা কখনও শুনিনি, কেউ আমাকে বলেওনি। আমার খেলার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু চোট পেয়ে গিয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল চোট সারিয়ে মেলবোর্নে তৃতীয় টেস্টে নামত পারব। কিন্তু প্রত্যাশা মতো ফিট হয়ে উঠতে পারিনি। আপনি যদি আমার গোড়ালিটা দেখতেন, তাহলেই বুঝতে পারতেন চোট কতটা গুরুতর ও যন্ত্রণাদায়ক ছিল। গোড়ালির অনেকটাই ফুলে গিয়েছিল। সেটা সারতে সময় লাগছিল বলেই আমি দেশে ফিরে এসেছিলাম।’
পৃথ্বী সাউ শুধু টেস্ট ক্রিকেটার হিসাবে খেলতে চান না। সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও তিনি সেরাটা মেলে ধরতে মরিয়া। চোট সারিয়ে ওঠার পর আইপিএল তাঁর প্রথম বড় টুর্নামেন্ট। এই মঞ্চকে তিনি কাজে লাগাতে চান। পৃথ্বী জানিয়েছেন, ‘সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যখন ওপেন করি, তখন আমার মানসিকতা অন্যরকম থাকে। পাওয়ার প্লে’তে ৩০ গজের বাইরে দু’জন ফিল্ডার থাকে। সেরকম শট খেলার চেষ্টা করি। আমি বহু তারকা ক্রিকেটারের খেলা দেখে শিখেছি। আমি যদি পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামি, তাহলে অন্যভাবে খেলব। সবই মনস্তাত্বিক ব্যাপার। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সেরাটা দেওয়ার আমার প্রধান লক্ষ্য। ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুমে সময় কাটিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। সিনিয়র-জুনিয়র ভেদাভেদ নেই। দশ বছর ধরে যে ক্রিকেটারটা দেশের হয়ে খেলছে, সেটা একজন নবাগতর সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশে যায়। কোচ ও ক্যাপ্টেন ড্রেসিংরুমে সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।’