বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে অনিবার্যভাবে রোনাল্ডোর হ্যাটট্রিক সম্পর্কে মেসির কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে তিনি জানান, ‘মঙ্গলবার রাতে ক্রিশ্চিয়ানো যেভাবে একক দক্ষতায় হ্যাটট্রিক করে জুভেন্তাসকে শেষ আটে তুলে দিয়েছে তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। ওই ফল আমার কাছে কিছুটা বিস্ময়কর তো বটেই, কারণ আমি ভেবেছিলাম, আতলেতিকো মাদ্রিদের দুর্ভেদ্য ডিফেন্স ভেঙে দু’গোলের ব্যবধান মুছে ফেলে জুভেন্তাস ৩ গোল করতে পারবে না। কিন্তু প্রথম মিনিট থেকেই গোলের জন্য জুভেন্তাস যেভাবে দুই উইং দিয়ে ক্রমাগত আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছে এবং বার বার বিপক্ষের রক্ষণে চাপ সৃষ্টি করেছে তা দেখে বুঝতে পারছিলাম একটানা এই আক্রমণ খুব বেশিক্ষণ হয়তো সামলাতে পারবে না আতলেতিকো রক্ষণ। আর এর পরেই ক্রিশ্চিয়ানো এক ম্যাজিক্যাল নাইট উপহার দিয়ে দলকে জিতিয়েছে।’ মেসির কাছে জানতে চাওয়া হয়, শুক্রবার তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র আয়োজিত হবে। আপনার পছন্দের প্রতিপক্ষ কোন দল? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনও পছন্দের প্রতিপক্ষ নেই। কারণ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যায়ে যে আটটি দল যায় তাদের শক্তি প্রায় উনিশ-বিশ। আয়াখস আমস্টারডাম এবার তারুণ্যনির্ভর দল। বেশ কিছু অসাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন ফুটবলার রয়েছে ওই ডাচ টিমে। রিয়াল মাদ্রিদকে ৪ গোল দিয়ে ওরা নিজেদের শক্তির প্রমাণ দিয়েছে। তারপর ধরুন, পেপ গুয়ার্দিওলার প্রশিক্ষণে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি গত মঙ্গলবার জার্মান ক্লাব শালকেকে ৭-০ গোলে চূর্ণ করেছে। ওরাও এবার খেতাবের বড় দাবিদার। লিভারপুল, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, জুভেন্তাস তো খুবই শক্তিশালী দল। সুতরাং এদের মধ্যে পছন্দের প্রতিপক্ষ বলে কিছু হয় না। ড্র’য়ের পর যাদের বিরুদ্ধে খেলা পড়বে তাদেরই মোকাবিলা করতে হবে আমাদের।’ উল্লেখ্য, ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্প স্টেডিয়ামে গত ৩০টি টি হোম ম্যাচের মধ্যে একটিতেও হারেনি বার্সেলোনা। ২৭টি জিতেছে এবং ড্র করেছে ৩টি ম্যাচে।
লিয়ঁ’র বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয় নিয়ে মেসির মন্তব্য, ‘শুরুতে আমরা দু’গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরে যখন ম্যাচের ফল ২-১ হয়ে গেল তখন আমরা কিছুটা চাপে ছিলাম। তার পরেই আমি একক প্রয়াসে বিপক্ষের রক্ষণ ভেঙে একটা গোল করি। এর পরেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ফের আমাদের হাতে ফিরে আসে। বলটা গোললাইন অতিক্রম করেছে কিনা তা নিয়ে আমি একটু সংশয়ে ছিলাম। পরে দেখলাম ওটা বৈধ গোলই ছিল।’ এদিকে লিভারপুল থেকে ১৬০ মিলিয়ন ইউরো গুণে ব্রাজিলিয়ান তারকা ফিলিপ কুটিনহোকে কিনেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু তিনি এখনও অবধি আশাপূরণে ব্যর্থ। এমনকী তার জায়গা অধিকাংশ ম্যাচেই কেড়ে নিয়েছে ওসুমানে ডেম্বেলে। তাই এতদিন মানসিক অশান্তিতে ছিলেন কুটিনহো। তিনি পুনরায় দলবদল করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন। কিন্তু বুধবার রাতে লুই সুয়ারেজ লিয়ঁ’র বক্সে দু’জনকে টপকে নিঃস্বার্থভাবে বল বাড়িয়ে কুটিনহোকে দিয়ে দ্বিতীয় গোলটি করান। এই গোল কিছুটা হলেও কুটিনহোর আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে এনেছে। তাই ম্যাচের পর কুটিনহোকে বলতে শোনা গেল, ‘আমি বার্সেলোনায় ভালোই আছি। দলবদলের কথা একবারও ভাবিনি। তবে ভবিষ্যতে কি হবে জানি না। আপাতত আমি অপেক্ষা করছি পরবর্তী প্রতিপক্ষের জন্য।’
প্রেস কনফারেন্সে দু’দলের কোচেরা লিও মেসিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। বার্সেলোনার কোচ আর্নেস্টো ভালভার্দে বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো বড় টুর্নামেন্টে লিও মেসি বার বার জ্বলে ওঠে। বুধবার রাতেও ওঁর দুটো গোল ও দুটি অ্যাসিস্ট আমাদের জয়ের পথ মসৃণ করে দিয়েছে।’ অন্যদিকে লিয়ঁ’র কোচ ব্রুনো জেনেসিও ম্যাচের পর জানান, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলেই লিও মেসি ম্যাজিক টাচ ফিরে পায়। বিশ্ব ফুটবলে মেসি এক জিনিয়াস। ও যা মাঠে করতে পারে তা কারও পক্ষে নকল করা সম্ভব নয়। বুধবার রাতে মেসি ছিল প্রায় অপ্রতিরোধ্য।’
এদিকে বার্সেলোনা বুধবার রাতে বড় ব্যবধানে জিতলেও ফুটবল বিশেষজ্ঞ
ক্রেগ বার্লে মনে করেন, ‘বার্সার রক্ষণ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে’র পরবর্তী পর্বে দলকে ঝামেলায় ফেলবে। কারণ এই ডিফেন্স লাইন বিপক্ষের ক্ষুরধার প্রতি আক্রমণের মোকাবিলা করতে পারবে না। তাই আমি বার্সেলোনাকে সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন বলে ভাবতে রাজি নই।’