পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত ৩০ জানুয়ারি নিউকাসল ইউনাইটেডের কাছে হারের পর দুরন্ত ছন্দে রয়েছে ম্যান সিটি। পরপর চারটি ম্যাচে সহজ জয় তুলে নিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, এই ম্যাচগুলিতে রহিম স্টার্লিংরা মোট ১৫টি গোল করেছেন। বুন্দেশলিগায় তালিকায় চতুর্দশ স্থানে থাকা শালকের পক্ষে ম্যান সিটিকে রোখা কঠিন। তবে কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাস আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখনও পর্যন্ত ছেলেরা আশাপ্রদ পারফরম্যান্স মেলে ধরেছে। আগামী মাসগুলিতেও এই ছন্দ বজায় রাখতে হবে। বুধবার শালকে আমাদের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলবে। কাগজে-কলমে আমরা এগিয়ে রয়েছি। আর সেটাই শালকের অ্যাডভান্টেজ। কারণ, ওদের হারানোর কিছু নেই।’
জার্মানির ক্লাবটির বিরুদ্ধে নামার আগে ম্যান সিটির জার্মান মিডিও ইকে গুন্ডোগান বলেছেন, ‘শালকেকে হাল্কাভাবে দেখা উচিত নয়। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ওরা লড়াই করে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে আমরা ঘরের মাঠে লিয়ঁ’র কাছে হেরেছিলাম। সেই হার আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। তাই ম্যান সিটি আত্মবিশ্বাসী হলেও আত্মতুষ্ট নয়।’ পরিসংখ্যান বলছে, বুন্দেশলিগায় ২২ ম্যাচে ৩২টি গোল হজম করেছে শালকে। এরকম দুর্বল রক্ষণের বিরুদ্ধে গোলসংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন আর্জেন্তাইন তারকা সের্গিও আগুয়েরো। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘পেপ গুয়ার্দিওলার প্রশিক্ষণে আমি এখন অনেক পরিণত। গোলের মধ্যে থাকলেও কীভাবে ম্যাচ বাই ম্যাচ ফোকাস ধরে রাখতে হবে তা উনি শিখিয়েছেন। প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা আমাদের রয়েছে। লিভারপুলের সামান্য পদস্খলনের সুযোগ নেওয়ার জন্য দল তৈরি। চেলসিকে হাফ ডজন গোল দেওয়ার পর আমরা আর পিছনে তাকাতে চাই না।’
শালকের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার নাসতাসিক এদিন জানিয়েছেন, ‘গত দু’টি ম্যাচে জয়ের মুখ না দেখলেও আমরা লড়াকু ফুটবল খেলতে তৈরি। ম্যান সিটি অবশ্যই শক্তিশালী দল। ওদের আপফ্রন্ট এবং মিডফিল্ডে একাধিক তারকা ফুটবলার রয়েছে। তা সত্ত্বেও অঘটন ঘটানোর চেষ্টা করব।’
শালকের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: ফারমান, ওসজিপকা, নাসতাসিক, সানে, ক্যালিগিউরি, ম্যাককেনি, রুডি, কোনোপ্লাঙ্কা, বেনতালেব, সারদের ও কুটুচু।
ম্যাঞ্চেস্টার সিটির প্রথম একাদশ: এডারসন, ওয়াকার, কোম্পানি, লাপোর্তে, জিনচেঙ্কো, কেভিন ডি ব্রুইন, ফার্নান্দিনহো, গুন্ডোগান, রহিম স্টার্লিং, সের্গিও আগুয়েরো ও বার্নাডো সিলভা।
দু’টি ম্যাচই শুরু ভারতীয় সময় রাত দেড়টায়।