বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
লন্ডন, ১৯ ফেব্রুয়ারি: দক্ষ স্ট্রাইকারের অভাব ফের হাতেনাতে টের পেলেন চেলসির কোচ মরিসিও সারি। সোমবার ঘরের মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজে এফ এ কাপের প্রি কোয়ার্টার-ফাইনালে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ৬৭ শতাংশ বল পজেশন রেখেও হারতে হল তাঁর দলকে। গঞ্জালো ইগুয়েন একাই চারটি সিটার নষ্ট করেন। কাছাকাছি থাকবেন ইডেন হ্যাজার্ডও। বিপক্ষের থেকে প্রায় দ্বিগুণ পাস খেলেও কাজের কাজ করতে না পারা অবশ্যই চেলসির ব্যর্থতা। পক্ষান্তরে, পরিকল্পিত ফুটবল খেলে এবং প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিযোগিতার শেষ আটে পৌঁছাল ওলে গানার সোলকজার প্রশিক্ষিত ম্যান ইউ। সোমবারের ম্যাচের নায়ক অবশ্যই পল পোগবা। দলের প্রথম গোলের নেপথ্য কারিগর তিনিই। আর দ্বিতীয়টি নিজেই করেছেন ফরাসি মিডফিল্ডারটি। ম্যাচের পর পোগবার প্রশংসা করে সোলকজার বলেছেন, ‘উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্যারি সাঁজাঁ’র কাছে হারের পর অনেকেই আমাদের সমালোচনা করেছিলেন। তাঁদের জবাব দেওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিল ছেলেরা। পল পোগবার নেতৃত্বে মিডফিল্ড দুরন্ত পারফরম্যান্স মেলে ধরেছে। প্রেসিং ফুটবল খেলেই জয় তুলে নিতে চেয়েছিলাম। এবার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।’
গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কাছে ০-৬ গোলে চূর্ণ হয়েছিল চেলসি। তারপর ইউরোপা লিগে মালমোকে হারালেও দলের রোগ সারাতে ব্যর্থ কোচ মরিসিও সারি। সোমবার তিনি দল সাজিয়েছিলেন ৪-৩-৩ ফর্মেশনে। প্রথমার্ধে চেলসি বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি। পক্ষান্তরে, ৩১ মিনিটে বাঁ দিক থেকে পোগবার ঠিকানা লেখা সেন্টারে অ্যান্ডার হেরেরার হেড কাঙ্ক্ষিত লিড এনে দেয় ম্যান ইউকে (১-০)। এর আগে চেলসির দাভিদ লুইজের ফ্রি-কিক এবং পেড্রোর শট রুখে দেন বিপক্ষ গোলরক্ষক সের্গিও রোমেরো। বিরতির অব্যবহিত আগে ব্যবধান বাড়ান পোগবা। এই গোলের দায় এড়াতে পারে না ব্লুজ রক্ষণ। ডানদিক থেকে মার্কাস র্যাশফোর্ডের ভাসানো বল পেয়ে জোরালো হেড নেন পোগবা। বল গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগার হাতে লেগে জালে আশ্রয় নেয় (২-০)।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার প্রবল চেষ্টা চালিয়েও লাভ হয়নি চেলসির। কোচ মরিসিও সারি পরিবর্ত হিসেবে উইলিয়ান ও রস বার্কলেকে নামিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউই কোচের আস্থার প্রতি মর্যাদা দিতে পারেননি। বরং, মাঝমাঠ ও রক্ষণ জমাট করে পজেশনাল ফুটবল খেলে শেষ হাসি হাসে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডই। ঘরের মাঠে এই ম্যাচ হারার পর চেলসির সমর্থকরা কোচ ও ফুটবলারদের সমালোচনা করছেন। অনেকেরই ধারণা, এই নখদন্তহীন আপফ্রন্টের কারণে চলতি মরশুমে আরও দুঃখ অপেক্ষা করছে চেলসির কপালে।